Hafiz Saeed

গদ্দাফি স্টেডিয়ামে হাফিজ সইদকে নমাজ পড়তে দিল না পাক সরকার

এক প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা খোলাখুলি হাফিজকে জানিয়ে দেয় সে দেশের পঞ্জাব প্রদেশের সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ১৪:৪৯
Share:

হাফিজ সইদ।—ফাইল চিত্র।

সরকারের আপত্তিতে লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইদের নমাজ পড়া হল না ২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সইদের। একরকম বাধ্য হয়েই প্রার্থনা সারতে হলে বাড়ির পাশে স্থানীয় মসজিদে।

Advertisement

মঙ্গলবার এক প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা খোলাখুলি হাফিজকে জানিয়ে দেয় সে দেশের পঞ্জাব প্রদেশের সরকার। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাক্ষাৎকার দেন ওই তিনি। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। ওই আধিকারিক জানান, হাফিজ সইদকে আপত্তির কথা জানিয়েছিল পাক সরকার। তার পরই সিদ্ধান্ত পাল্টায় সে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বরাবরের মতো এ বছরও গদ্দাফি স্টেডিয়ামে নমাজে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। কিন্তু তা করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় পঞ্জাব প্রদেশের সরকার। নির্দেশ না মানলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাতেই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন তিনি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সরকারি তত্ত্বাবধানে নয়, বাড়িতেই মৃত্যু নোয়ার​

লস্কর-ই-তৈবার সহ প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঝুলছে। ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকিস্তানে গ্রেফতার হন তিনি। ২৬/১১ মুম্বই হামলাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। যার জেরে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

আরও পড়ুন: ‘ড্রিমারদের’ জন্য বিল পাশ হাউসে​

তার পরেও এত দিন দিব্যি পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন হাফিজ সইদ। গদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রতি বছর ইদের নমাজে নেতৃত্বও দিতেন। সে জন্য পাক সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তাও পেতেন। সেখানে প্রকাশ্যেই কাশ্মীর নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতেন। তবে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ইমরান খান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিছুটা হলেও প্রতিপত্তি কমেছে হাফিজ সইদের। সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগে জেরবার হয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে পাক সরকার। এ বছর মার্চ মাসে লাহৌরের জামাত-উদ-দাওয়ার সদর দফতর, জামিয়া মসজিদদ কাদসিয়ায় তাঁর ধর্মীয় সভা বাতিল করে পাক সরকার। জামিয়া মসজিদ কাদসিয়া পঞ্জাব প্রদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীনও, কখনও এমন হয়নি। তার পরই এই পদক্ষেপ ইমরান খান সরকারের।

(সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement