প্রতীকী ছবি।
প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় পাকিস্তান। কথা বলতে চায় কাশ্মীর ও সন্ত্রাস নিয়ে। একটি বেসরকারি খবরের সাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ। গত বছর অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিলেন এক পাক শীর্ষ কূটনীতিক।
মইদ জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত আলোচনায় আগ্রহী, এই মর্মে তাঁরা দিল্লি থেকে বার্তা পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি ইউসুফ। শুধু বলেন, ‘‘কাশ্মীর এবং সন্ত্রাস, এই দু’য়ের বিষয়ে কথা বলতে চাই। পাকিস্তানও শান্তি এবং (ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে) অগ্রগতি চায়।’’
দু’দেশের মধ্যে আলোচনার কথা বললেও পাক কূটনীতিকের দাবি, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় কাশ্মীরিদের উপস্থিতি জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘এই তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি ছাড়া কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।’’ এ ছাড়া, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথায় তাঁর আরও দু’টি ‘শর্ত’ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমটি হল কাশ্মীর এখন ভারতীয় সেনা জবরদখল করে রেখেছে। সেনাদের সেখান থেকে সরাতে হবে।’’ তাঁর দ্বিতীয় শর্ত, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে।’’ ২০১৯-এর ৫ অগস্ট ভারতীয় অনুচ্ছেদের ৩৭০ ধারা রদ করার ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসনের অধিকার লোপ পেয়েছিল।
কাশ্মীরের পরে ওঠে কুলভূষণ যাদবের প্রসঙ্গ। মইদ বলেন, ‘‘হাতেনাতে ধরা পড়েছিল কুলভূষণ। ভারতীয় আইনজীবী এসে তার হয়ে মামলা লড়বে পাকিস্তানি আদালতে, এ রকম কোনও আইন নেই।’’ ২০০৮-এর মুম্বই হামলার অভিযুক্তদের কেন শাস্তি দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন করলে পাক কূটনীতিকের দাবি, ‘‘ভারত বিষয়টি জিইয়ে রাখতে চাইছে। তাই তারা সব নথি আমাদের দেয় না।’’