পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে
সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য বন্ধ করার জন্য আরও চাপের মুখে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে যারা নজরদারি চালায়, সেই আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)’ এ বার চরম হুঁশিয়ারি দিতে চলেছে ইসলামাবাদকে। এটাই পাকিস্তানের শেষ সুযোগ শুধরে নেওয়ার। না পারলে, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে জারি হবে অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক ভাবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জঙ্গিদের অর্থসাহায্য বন্ধের ব্যাপারে ইসলামাবাদ কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেনি বলে এফএটিএফ এ বার পাকিস্তানকে ‘আরও বেশি ধূসর’ দেশগুলির তালিকাভুক্ত করতে পারে। তা ঘোষণা করা হতে পারে আগামী ১৮ অক্টোবরই। এফএটিএফ-এর এক পদস্থ কর্তা এই খবর দিয়েছেন।
এফএটিএফ-এর প্লেনারি চলছে এখন প্যারিসে। সেখানেই আন্তর্জাতিক সংগঠনটির এক কর্তা জানিয়েছেন, ইসলামাবাদকে একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য দেওয়া বন্ধ করেছে, তার যাবতীয় সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ওই সময়ের মধ্যে দাখিল করতে হবে। তা না হলে, কড়া অর্থনৈতিক অবরোধ জারি হবে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। ফলে, পাকিস্তানকে শেষ হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মোক্ষম সময়েই ডোভালের মুখে পাকিস্তানি সন্ত্রাস
আরও পড়ুন- হাফিজ সইদ-সহ ৪ লস্কর জঙ্গির বিচার করা উচিত পাকিস্তানের, মত আমেরিকার
গত বছরের জুন থেকেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’য় রেখেছে এফএটিএফ। প্রমাণ দাখিলের জন্য এফএটিএফ-এর তরফে ২৭টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে।
১৯৮৯ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ওই কর্তা জানিয়েছেন, ইমরান খানের সরকার তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬টি শর্ত পূরণ করেছে।
এফএটিএফ কোনও দেশকে ‘কালো তালিকা’য় ঢোকানোর আগে দু’টি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি ‘ধূসর’। অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দু’টি তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ-এর তরফে সংশ্লিষ্ট দেশকে দু’বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ইঙ্গিত, পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও এফএটিএফ সেই দিকেই এগচ্ছে।