ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু দিন বিরতির পর পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় নৌসেনার কর্মী কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তান প্রবল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হল। আজ ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, চরবৃত্তির অভিযোগে পাক আদালতে বন্দি কুলভূষণ নিজেই নাকি পাক সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুর্নবিবেচনার জন্য আর্জি জানাতে চান না। তার বদলে তাঁর প্রাণভিক্ষার যে আবেদন পাক সরকারের কাছে ঝুলে রয়েছে সেটাই তুলে ধরতে চান।
আজ রাতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ভারত সরকার যাদবকে সুরক্ষা দেওয়া এবং নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা করবে। সে কারণে সব পথই খতিয়ে দেখা হবে।
গত বছর জুলাইয়ে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের— নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায় আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কনসুলার অ্যাকসেস না-দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি লঙ্গন করেছে বলেও পর্যবেক্ষণে জানায় আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বিচারপতির প্যানেল।
পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আজ পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, গত ১৭ জুন তাঁর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করার কথা ছিল কুলভূষণের। কিন্তু তা নাকি করতে চাননি তিনি।
ভারতের বক্তব্য গোটাটাই পাকিস্তানের চক্রান্ত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “আজ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমের কাছে যে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মুখে ঠুলি পরানোর চেষ্টা।’’ তাঁর বক্তব্য, “পাকিস্তান জানাচ্ছে যে কুলভূষণ নিজেই নাকি মৃত্যুদণ্ডের রায় পুর্নবিবেচনার আবেদন থেকে পিছিয়ে এসেছেন। এই নিয়ে পাক-তামাসায় এটা নতুন সংযোজন। কুলভূষণ পাকিস্তানের সেনা কারাগারে রয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে তাঁর উপর চাপ তৈরি করে পুর্নবিবেচনার আবেদন থেকে বিরত রাখা হয়েছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “আমরা বার বার আবেদন করেছি পাকিস্তানের বাইরে থেকে আইনজীবীকে কুলভূষণের হয়ে দাঁড় করানো হোক। পাকিস্তান সেই সুযোগ দিতে অস্বীকার করেছে। তাদের সামরিক আদালতে বিচারের প্রহসন হচ্ছে।’’