পাকিস্তান সেনা। ফাইল চিত্র।
বেনজির ভাবে স্বেচ্ছায় প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। বাহিনীর এই
পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাক অর্থনীতি এখন চরম সঙ্কটের মুখে। তাই নানা স্তরে ব্যয় সঙ্কোচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তাঁর সামরিক সচিবের তিন কামরার বাড়িতে থাকছেন। ১১ জুন পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরানের বিশেষ সহকারী ফওয়াদ চৌধুরি।
সেই বাজেটেও অনেক ব্যয়সঙ্কোচের কথা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে আজ পাক সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আসিফ গফুর জানান, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমাবে বাহিনী। তবে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে না। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ব্যয় সঙ্কোচের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যয় সঙ্কোচের ফলে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা বালুচিস্তান ও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার উন্নতিতে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। আসিফের বক্তব্য, ‘‘বালুচিস্তান ও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার উন্নতিতে অংশগ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।’’ তবে সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।’’ দিল্লিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘ভুলবেন না ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিও আমাদের হাতে এই বরাদ্দই ছিল। যে কোনও আক্রমণের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।’’
সামরিক বাহিনীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনী এই পদক্ষেপ করেছে। আমি একে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরির মতে, ‘‘এটা মোটেই ছোট পদক্ষেপ নয়। সামরিক বাহিনী ও নির্বাচিত সরকারের মধ্যে সহযোগিতা ছাড়া পাকিস্তানের আর্থিক ও প্রশাসনিক সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়।’’
২০১৮ সালে সারা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খাতে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি খরচ করে তাদের তালিকায় ২০তম স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেই বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় ছিল পাকিস্তানের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪ শতাংশ।