ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
নানকানা সাহিবে অশান্তি নিয়ে দু’দিন পরে আজ নীরবতা ভাঙলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, নানকানা সাহিবে যা ঘটেছে তা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী। হামলায় যুক্তদের কোনও ভাবেই রেওয়াত করবে না তাঁর সরকার। পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারটি শিখদের অন্যতম তীর্থস্থান। শুক্রবার সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। এর পরেই পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। পাক বিদেশ মন্ত্রক যদিও দাবি করে, গুরুদ্বার অক্ষত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটনাটিতে ‘সাম্প্রদায়িক রং’ চাপানো হচ্ছে।
নানকানার পরেই পাকিস্তানে শিখদের সুরক্ষার দাবিতে সরব হয় ভারত। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনারের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েক’শো মানুষ। যার জেরে আজ খানিক বাধ্য হয়েই ইমরান বলেন, ‘‘নানকানা সাহিবের ঘটনা এবং ভারত জুড়ে মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের ঘটনার মধ্যে ‘বড় ফারাক’ রয়েছে। আমার মতে, প্রথমটি অন্যায়। সরকার অভিযুক্তদের প্রতি ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে। সংখ্যালঘুরা সরকার, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা থেকে সব রকম সুরক্ষা পাবেন।’’ ভারতের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘‘মোদীর আরএসএস দৃষ্টিভঙ্গি সংখ্যালঘুদের দমন-পীড়ন ও মুসলিমদের নিশানা করে হামলাকে সমর্থন করেন।’’ ভারতের পুলিশ সরকারের নির্দেশে মুসলিমদের উপরে নির্যাতন চালায় বলেও অভিযোগ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।