পাগলা মসজিদে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দান করেছেন ভক্তেরা। ছবি: প্রথম আলো।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দান করেছেন ভক্তেরা। দানবাক্স খুলে মিলেছে বস্তা বস্তা টাকা। এ বারের দান রীতিমতো রেকর্ড গড়ে ফেলেছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-র প্রতিবেদন বলছে, প্রতি ৩ মাস অন্তর এই মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। দানের টাকা সংগ্রহ করেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে ৩ মাস ৬ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। তার পর থেকে টাকার গণনা চলছে।
ঠিক কত পরিমাণ টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা গণনা শেষে জানা যাবে। তবে মসজিদের মোট ৮টি দানবাক্সে জমেছে ২০ বস্তা টাকা।
এই মসজিদে ভক্তেরা বরাবরই হাত খুলে দান করে থাকেন। প্রতি ৩ মাসে প্রচুর টাকা সংগ্রহ করা হয় পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে। গত ১ অক্টোবর এই মসজিদ থেকে মিলেছিল ১৫ বস্তা টাকা। কর্তৃপক্ষ গুনে দেখেছিলেন দানের টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। সে বার বাক্স খোলা হয়েছিল ৩ মাস ১ দিন পর।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এ বারের টাকার পরিমাণ গত বারকেও ছাপিয়ে যাবে। বরং তা ভেঙে দেবে অতীতের রেকর্ডও।
শুধু বাংলাদেশের মুদ্রা নয়, বৈদেশিক মুদ্রাও জমা পড়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে। মেলে সোনা, রুপোও। এ ছাড়া, মসজিদে প্রায় প্রতি দিনই গোরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি দান করা হয়।
কিশোরগঞ্জে নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদ বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শনিবার সকালে সেখানকার দানপাত্রগুলি খোলার পর বস্তায় টাকা ভরা হয়। তার পর মসজিদের মেঝেতে ঢেলে শুরু হয়েছে টাকা গোনার কাজ। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গণনার কাজ চলছে। এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ৫০ জন ব্যাঙ্ককর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য।