আন্তর্জাতিক মঞ্চে তালিবানের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পিছনে দায়ী পাকিস্তানই, অডিয়ো বার্তায় দাবি।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে তালিবানের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পিছনে দায়ী পাকিস্তানই। আফগানিস্তানের নতুন সরকারে আইএসআইয়ের মদত পুষ্ট হক্কানি গোষ্ঠী মধ্যমণি হয়ে ওঠায় সংগঠনের নাম আরও খারাপ হয়েছে। শুক্রবার নেটমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি অডিয়ো বার্তায় এক শীর্ষস্থানীয় তালিব নেতার এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসায় বিতর্ক। সরকার গঠন নিয়ে তালিবান ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যে চিড় ধরেছে, তার আভাস বিভিন্ন মহল থেকে মিলছিল। এ বার তালিবান নেতার অডিয়ো বার্তা ফাঁস হতেই ওই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
আফগানিস্তানে নতুন সরকার ঘোষণার আগে কাবুল গিয়েছিলেন পাক-গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান ফায়েজ আহমেদ। তাঁর এই কাবুল সফরই তালিবানের সরকার গঠন নিয়ে সমস্ত পরিকল্পনা মাটি হয়েছে বলে অডিয়োতে দাবি করেছেন ওই তালিবান নেতা। ইসলামাবাদের সুপারিশেই তালিবানের সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে হক্কানি আর কোয়েটা সুরার নেতারা।
আফগানিস্তানের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন হক্কানি গোষ্ঠীর নেতা সিরাজউদ্দিন হক্কানি, মানব বোমা হামলা এবং আল কায়দার সঙ্গে যোগসাজশের জন্য যাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ফাঁস হওয়া ওই অডিয়ো বার্তায় যাঁর গলা শোনা গিয়েছে, তিনি নয়া আফগান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ফাজেলের বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
গোটা বিশ্বের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি নতুন করে গড়ে তুলতে সংগঠনের তুলনামূলক ‘নরমপন্থী’ নেতাদের নতুন সরকারে এবং কট্টরপন্থীদের বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর পদে জায়গা দেওয়া পরিকল্পনা ছিল তালিবানের। সেই সঙ্গে পূর্ব ঘোষণা মতো আফগানিস্তানের তাজিক, উজবেক, সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায় ছাড়াও আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং প্রাক্তন সিইও আবদুল্লা আবদুল্লাকে সরকারে স্থান দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু আইএসআই প্রধানের হস্তক্ষেপেই সব ভেস্তে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই অডিয়ো বার্তায়।
পরে অবশ্য ওই অডিয়ো বার্তাটি নেটমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।