ব্রিটেনের যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে আগ্রহ প্রতীকী চিত্র
পর্নোগ্রাফিকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চাইছেন ব্রিটেনের অনেক তরুণ-তরুণী। সাভাম্তা কমরেস নামে একটি সংস্থা ‘দ্য নেকেড প্রজেক্ট’ নামে একটি সমীক্ষা করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের যুব সম্প্রদায়ের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন পর্নকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চান। তার অন্যতম কারণ অর্থ। এই পেশায় যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায় তা অন্য অনেক পেশার থেকে বেশি। মূলত টাকার জন্যই তাই এই পেশায় পা বাড়াচ্ছেন অনেকে। কিন্তু যুব সম্প্রদায়ের এই মনোভাবের বিরুদ্ধ মত পোষণ করছেন অভিভাবকরা।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ৫১ শতাংশ অভিভাবক এই চিন্তাধারার বিরুদ্ধে। ৩৪ শতাংশ মনে করেন পর্নোগ্রাফির ফলে সমাজের ক্ষতি হয়। তাই তাঁদের পরিবারের কেউ এই পেশায় যাক সেটা তাঁরা চান না। সংস্থার সিইও ইয়ান হেন্ডারসন বলেছেন, ‘‘সমীক্ষায় অনেকে বলেছেন পর্ন জীবন ও সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। সেই সঙ্গে এর ফলে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেকে আবার বলেছেন পর্ন দুনিয়ার ঝাঁ-চকচকে ভাব দেখে অনেকে সেই দুনিয়ায় পা রাখতে চান। কিন্তু সেই আলোর তলায় যে অন্ধকার ও কষ্ট রয়েছে তা তাঁরা দেখতে পান না।’’
এক সময়ের পর্ন তারকা হোসুয়া ব্রুম এই সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি পর্ন জগতে কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন। কিন্তু মানসিক শান্তি পাননি। সেই জগত ছেড়ে তিনি পাদ্রির কাজ শুরু করেছেন। এখন তাঁর মানসিক শান্তি অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন হোসুয়া।
কিন্তু যুব প্রজন্ম কি সে বিষয়ে আদৌ চিন্তিত? পর্ন জগতে কাজ করা ২৪ বছরের মেডালিন বুথ স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘‘এখানে আপনি নিজের মালিক। আপনি নিজের দাম ঠিক করেন। আর পাঁচটা কাজের মতো আপনাকে ঘড়ি ধরে কাজ করতে হয় না। আর আয়ের দিক তো রয়েছেই।’’ এই বিষয়ে অভিভাবকদের কথাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মেডালিন।