International News

মারা গেলেন সেই ইমান আহমেদ

ওজন কমাতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন ইমান। তখন তাঁর ওজন ছিল ৫০০ কিলোগ্রাম। মুম্বইয়ের সাইফি হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষ দলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইমান। সেই মেডিক্যাল টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট সার্জেন মুফফাজল লাকডাওয়ালা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:২৪
Share:

ইমান আহমেদ।- ফাইল চিত্র।

বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মহিলা ইমান আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সে।

Advertisement

সোমবার আবু ধাবির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইমানের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় আর হৃদরোগের জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ওজনের জন্য গত দু’দশক ধরে নিজে থেকে বাড়ির বাইরে পা ফেলতে পারেননি তিনি। গত বছর থেকে তিনি পঙ্গুও হয়ে যান।

ওজন কমাতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন ইমান। তখন তাঁর ওজন ছিল ৫০০ কিলোগ্রাম। মুম্বইয়ের সাইফি হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষ দলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইমান। সেই মেডিক্যাল টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট সার্জেন মুফফাজল লাকডাওয়ালা। ওজন কমানোর জন্য ইমানকে দিনে-রাতে খাওয়াতে হত বিশেষ ধরনের তরল খাবার। ওজন কমাতে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির জন্যই ইমানকে ওই বিশেষ ধরনের তরল খাবার দেওয়া হত। সেই চিকিৎসায় ইমানের ওজন কমেছিল ৩২৪ কিলোগ্রাম। মে মাসে তিনি আবু ধাবিতে ফিরে যান। তার পর সেখানেই চলতে থাকে ইমানের চিকিৎসা। আবু ধাবির ভিপিএস বুরজিল হাসপাতালে তাঁর ফিজিওথেরাপি চলছিল। আরব আমিরশাহির সংবাদ মাধ্যম দিন কয়েক আগে জানিয়েছিল, গত মাসে ইমানকে হাসপাতালের বিছানায় ‘খুব সাবলীল’ লাগছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন- সিবিআই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ ‘বাবা’ গুরমিতের

আরও পড়ুন- স্কুলেই ধর্ষিত! বাঁচান, না হলে সুইসাইড করব, মোদীকে চিঠি ছাত্রীর

ইমানের বোনের অভিযোগ, মুম্বইয়ের সাইফি হাসপাতালের চিকিৎসা মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। তাঁদের পরিবারকে হাসপাতালের তরফে ভুল বোঝানো হয়েছিল। গোপনে তোলা একটি ভিডিওয় ইমানের বোন অভিযোগ করেছেন, মুম্বইয়ের হাসপাতালটি তাঁর বোনকে নিয়ে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করেছিল। সাইফি হাসপাতালে যে মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইমান, তার প্রধান সার্জেন মুফফাজল লাকডাওয়ালা বলেছেন, ‘‘চিকিৎসার জন্য এক কানাকড়িও নেওয়া হয়নি ওঁর কাছ থেকে। তবে ওঁর ওজন কমাতে পেরেছিলাম বলে আমরা খুশি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement