প্রতীকী ছবি।
দেহস্থিত মন অতি অল্পকালে যদি বিকশিত হয়—তখন তখন নাছোড়বান্দা মনের ভাবকে চিত্ররূপ দেওয়া চাট্টিখানি কথা থাকে না। প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে লন্ডনের উত্তরে এনফিল্ডে কোরিতা আকিনিয়েমি দেখতেন, সুপার মার্কেটের তাক উজাড় করে হাতে পড়ে হয় ফুল-পাখি, নয় চাঁদ-তারা। ছবির বর্ণে শুধু সাদা মানুষেরা। ফলে গ্রিটিংস কার্ড সহকারে ডালপালা মেলতে পারত না তাঁর মতো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ ইংল্যান্ডবাসীর মর্মকথা। ২০২০ সাল থেকে দুই সন্তানের জননী কোরিতা নিজেই সেই দায়ভার নিয়েছেন। তাঁর উপলব্ধি, বাজার আছে, চাহিদা আছে— তবুও অলক্ষে কোথাও বেধে ছিল এত দিন।
গ্রিটিংস কার্ডের চাল-চলন কালে কালে বদলেছে। এখন আবেগ কথা হয়ে উড়ে যেতে পারে লহমায়। আর সহজসাধ্য প্রযুক্তিতে বক্তব্যকে মুদ্রিত করা যায় অনেক বেশি নিজের করে। কিন্তু হঠাৎ কেনার দরকারেই হোক বা খুঁজে ফেরার ঔৎসুক্যে— চাহিদা আছে বলেই এখনও মরসুমি কার্ডে ছাপা হয় আঁকা ছবি, বলেন কোরিতা।
১৯৫৫ নাগাদ জামাইকা থেকে তাঁর পূর্বজেরা চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। তার পর থেকে সেখানেই কোরিতাদের সব। গোড়ায় সন্তানদের উদ্দীপিত করতে বিভিন্ন কথা প্রিন্টারে ছেপে ঘরে টাঙাতেন। আবদারে উৎসাহ বাড়ে। কথার সঙ্গে লাগসই কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেমেয়েদের ছবিও জুড়ে দিতে থাকেন।
এখন কৃষ্ণাঙ্গদের ছবিতে তুলে ধরে সমস্ত উপলক্ষের কার্ড বানান কোরিতা। বলেন, ‘‘আমি এমন মানুষজনের মুখে অনাবিল হাসি দেখতে চাইতাম খালি।’’ এ বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সমাজমাধ্যমে ভালই সাড়া পাচ্ছেন। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘প্রায়ই অনেকে বলে যান, প্রকাশের আনন্দ কতটা। নিজেদের দেখতে পাওয়া আর মিশে যেতে পারার মধ্যে ভালবাসার কত পরত থাকে।’’ ইদানীং আরও নানা ধরনের কালো এবং খয়েরি গাত্রবর্ণ কার্ডে দেখতে চেয়ে অনুরোধ আসছে তাঁর কাছে।