হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদীর পাশে বসে নৈশভোজের এক দিন পরেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারতকে বিঁধলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওবামা জমানার এই শেষ শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাস প্রশ্নে পশ্চিমী বিশ্বকে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়েছেন, যে সব দেশ পরমাণু অস্ত্র পাচারকারী ও জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে তারাই বিপদের আসল কারণ। নাম না করলেও তাঁর লক্ষ্য যে পাকিস্তান তা নিয়ে কূটনীতিকদের সন্দেহ নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তান, কাউকেই ছেড়ে কথা বললেন না। তাঁর মতে, এই দুই দেশই পরমাণু অস্ত্র বাড়িয়ে চলেছে। তাই ভারতীয় উপমহাদেশে পরমাণু হামলার আশঙ্কা কমাতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে সংযত হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা ছেড়ে সৌদি আরবে পৌঁছে গিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারাও সেখানে। তবে দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ওবামা বক্তব্যে ভারসাম্য রাখতে চেয়েছেন। কিন্তু তাঁরও আসল লক্ষ্য পাকিস্তান। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ছোট ও কৌশলগত (ট্যাকটিক্যাল) পরমাণু অস্ত্র তৈরির কথা। পাকিস্তানই দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অস্ত্র তৈরি করে সীমান্তে মোতায়েন করছে। এই ধরনের অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে পড়া নিয়ে আশঙ্কার কথা বলেছেন ওবামা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে এই আশঙ্কার কথাই ভারত দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। এ বারও মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরিকে পাক পরমাণু অস্ত্র নিয়ে তথ্য দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ওবামার বক্তব্যে সেই আশঙ্কার কথাই ফুটে উঠেছে।
মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে দিল্লি
বরাবরই সংযমী। প্রথমে ওই অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি নিয়েই চলে দিল্লি। সে জন্যই সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা করতে রাজি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।’’ পাকিস্তানে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার জেরে ওয়াশিংটনে যাননি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তবে
পাক বিদেশসচিব ইজাজ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘ভারতের হামলা থেকে বাঁচতেই ছোট পরমাণু অস্ত্র সীমান্তে মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। ওই অস্ত্রগুলির উপরে কড়া নজরদারিও রাখা হয়।’’