সুরক্ষা-প্রশ্নে হোটেল বদলালেন ওবামা

চিনের গুপ্তচরদের এড়াতে এ বার হোটেল বদলালেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন বারাক ওবামা। তবে নিউ ইয়র্কে গেলে পূর্ব ম্যানহ্যাটনের বিখ্যাত ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া নামের যে বিলাসবহুল হোটেলে গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ আধিকারিকেরা থেকে এসেছেন, এ বার সেখানে থাকবেন না ওবামা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:০০
Share:

চিনের গুপ্তচরদের এড়াতে এ বার হোটেল বদলালেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন বারাক ওবামা। তবে নিউ ইয়র্কে গেলে পূর্ব ম্যানহ্যাটনের বিখ্যাত ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া নামের যে বিলাসবহুল হোটেলে গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ আধিকারিকেরা থেকে এসেছেন, এ বার সেখানে থাকবেন না ওবামা। পরিবর্তে ওই এলাকারই অন্য একটি হোটেলে থাকবেন তিনি।

হঠাৎ কেন এমন রীতি বদল?

Advertisement

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মার্কিন বিদেশ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ওই হোটেলটির হাত বদল হয়েছে। গত বছরই প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে হোটেলটি কিনেছে একটি চিনা সংস্থা। চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিদেশ দফতরের ওই আধিকারিকের মতে, প্রেসিডেন্টের হোটেল বদলের মূল কারণ চিনের নজরদারি এড়ানো। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্টের কথায়, ‘‘হোয়াইট হাউসের বাইরে গেলে প্রেসিডেন্ট কোথায় থাকবেন তা ঠিক করার পিছনে অনেক কারণ থাকে। স্থান, এলাকা, দাম, নিরাপত্তা— সব বিচার করে তবেই প্রেসিডেন্টের থাকার জায়গা ঠিক করা হয়।’’ তবে কী নিরাপত্তার প্রশ্নেই বাতিল হয়েছে ওয়ালডর্ফের নাম? জশের জবাব, ‘‘এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করার এক্তিয়ার এই মুহূর্তে আমার নেই।’’

সূত্রের খবর, ওই চিনা সংস্থা হোটেলটি কেনার পর তা আদৌ সরকারি আধিকারিকদের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার উপর মার্কিন সরকারি ডেটাবেস এবং ই-মেল সার্ভারে হ্যাকিংয়ের ঘটনাতেও চিনের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তি এড়াতেই ওই হোটেলে ওবামার থাকার ব্যবস্থা না করার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ওই হোটেলের ৪২ তলায় পাকাপাকি ভাবে থাকেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মার্কিন দূত। হোটেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে রাষ্ট্রদূতের ঠিকানারও বদল হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি হোয়াইট হাউস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement