ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার। ছবি: পিটিআই।
আন্তর্জাতিক মহলের বার বার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। শনিবার আন্তর্দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)-এর উৎক্ষেপণ করেছে তারা। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র কেসিএনএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশাসক কিম জং উন শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেন। সেই মহড়াতেই হোয়াসং-১৫ ক্ষোপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর থেকে।
সফল উৎক্ষেপণের পরই নাম না করে আমেরিকাকে কিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে প্রমাণ করে দিলাম, আমাদের ক্ষমতা কতটা। হামলা করলে, পাল্টা পরমাণু হামলা করতেও প্রস্তুত আমরা।” গত সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে। তার পর পরই উত্তর কোরিয়ার এই শক্তিপ্রদর্শন কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। শুধু তাই-ই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কিম আবার বার্তা দিতে চাইলেন যে, প্রয়োজনে তাঁরাও পরমাণু হামলা থেকে পিছিয়ে আসবেন না।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছে জাপান সাগরে। অন্য দিকে জাপানের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল ছুঁয়ে সমুদ্রে পড়েছে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আমেরিকার মূল ভূখণ্ডেও আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।
ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ইয়াং মু-জিনের মতে, এই উৎক্ষেপণ খুব একটা পরিকল্পিত ছিল না। আচমকাই এই মহড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক। আর এই আচমকা মহড়ার মাধ্যমে তারা বার্তা দিতে চাইছে যে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে উত্তর কোরিয়া। জিনের মতে, এখন থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার এ রকম আচমকা মহড়া দেখা গেলে বিষয়টি খুব একটা অপ্রত্যাশিত বলে ধরে নেওয়া উচিত হবে না।