এ বার পাল্টা হুমকি। খুল্লমখুল্লা!
শুধু পরীক্ষামূলক ভাবে আর ক্ষেপণাস্ত্রে শান দেওয়া নয়। আমেরিকার সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেও তৈরি বলে জানিয়ে দিল উত্তর কোরিয়া। প্রয়োজনে পরমাণু হামলাও!
একাই দেখে নেওয়ার হুমকির পর কিম জং উনের ‘ক্লাস নিতে’ সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে নৌবহর পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়া-কাণ্ডের ঠিক পর-পরই। আজ তারই প্রতিক্রিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘এমন আগ্রাসী পদক্ষেপের কারণে যদি ধ্বংসাত্মক পরিণতি নেমে আসে, তার দায় নিতে হবে আমেরিকাকেই।’’ সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছিল কিমের প্রশাসন। তার জের টেনেই এ দিন পিয়ংইয়ং লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘ওয়াশিংটনের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কারবারের জবাব দিতে আমরা তৈরি। যে কোনও পর্যায়ের যুদ্ধের জন্যই আমরা প্রস্তুত।’’
পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এই মুহূর্তে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জোট করে দাপিয়ে মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। যা মেনে নিয়ে পেন্টাগনের একটি সূত্রও জানিয়েছে— একই সঙ্গে মহড়া চলছে জল, মাটি আর আকাশপথে। চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। যাতে অংশ নেবে প্রায় ৪ হাজার মার্কিন সেনা। কিন্তু মহড়া চলাকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সামান্য উস্কানি এলেই তার ফল মারাত্মক হবে বলে হঁশিয়ারি দিয়েছে কিম প্রশাসন। যেমন আজ তারা বলেছে, ‘‘বেচাল দেখলেই জবাব দেব। শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় ওদের ঘাঁটি কিংবা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে নয়, প্রয়োজনে ওদের মুলুকেও।’’ আসরে অবশ্য একা আমেরিকা নয়। চিনকেও পাশে টানতে চাইছে তারা। এ নিয়ে টুইটও করেছেন ট্রাম্প। চিনও অরাজি নয় বলেই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।