Malala Yousafzai

বন্যা-দুর্গতদের পাশে মালালা

গত দু’মাসের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জলের তলায়। ক্ষতির পরিমাণ ২৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। অন্তত ৮০ লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন। দেশ-বিদেশ থেকে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে।

Advertisement
করাচি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ ০৬:১০
Share:

করাচি বিমানবন্দরে মালালা।

কিশোরী বয়স থেকেই নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ঠিক সেই কারণেই পাক তালিবান তাঁর মাথায় গুলি করেছিল। মালালা ইউসুফজ়াইয়ের বয়স তখন মাত্র ১৫। পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে নানা অস্ত্রোপচারের পরে প্রাণ বাঁচে তাঁর। মাত্র দু’দিন আগেই সেই হামলার দশ বছর পূর্ণ হয়েছে। আর আজই পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন মালালা। উদ্দেশ্য, তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে বন্যা-বিধ্বস্ত পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানো।

Advertisement

গত দু’মাসের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জলের তলায়। ক্ষতির পরিমাণ ২৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। অন্তত ৮০ লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন। দেশ-বিদেশ থেকে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিল আর্থিক ভাবে বিধ্বস্ত পাকিস্তান সরকার। নিজের সংগঠনের সাহায্যে তাই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা।

পাক তালিবানের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে এর আগে মাত্র একবারই পাকিস্তানের মাটিতে পা রেখেছিলেন মালালা। এ বার করাচি পৌঁছনোর পরে বন্যা-বিধ্বস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার কথা তাঁর।

Advertisement

মালালা যখন সম্পূর্ণ অন্য এক কারণে দেশে ফিরেছেন, ঠিক তখনই শান্তি ফেরানোর দাবিতে পথে নেমেছে তাঁর নিজের শহর মিঙ্গোরার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে মালালার প্রাক্তন স্কুলের পড়ুয়ারাও। সোয়াট উপত্যকায় আদি বাড়ি ছিল মালালাদের। সেখানেই নারী শিক্ষার প্রসার নিয়ে বহু কাজ করতেন তিনি। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযানের পরে পাক তালিবানের আধিপত্য কমেছিল সেখানে। কিন্তু গত বছর আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ক্ষমতা দখলের পরে পাক তালিবানের বাড়বাড়ন্ত ফের চোখে পড়ছে। হিংসার ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলার সংখ্যা এক লাফেঅনেকখানি বেড়েছে।

গত কাল একটি স্কুল বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিতে বাসের চালক মারা গিয়েছেন। আহত হয় এক শিশু। স্থানীয় বাসিন্দারা পাক তালিবানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। কিন্তু ওই হামলার দায় সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী। তবে গোটা সোয়াট উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর দাবিতে আজ পথে নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী মিলেয়ে কমপক্ষে ২ হাজার জন। যে স্কুলের বাসে গত কাল হামলা হয়েছে, তার অধ্যক্ষ বললেন, ‘‘এলাকার সব মানুষ ক্ষুব্ধ। সব বেসরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।’’ সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement