পটোম্যাক নদীতে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএফপি।
আমেরিকায় সেনার কপ্টার-বিমান দুর্ঘটনায় আর এক জনও বেঁচে নেই। কপ্টার এবং বিমানে থাকা ৬৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার দমকল বাহিনীর এক আধিকারিক। ওই বাহিনীই পটোম্যাক নদী, যেখানে বিমান এবং কপ্টারটি পড়ে গিয়েছিল, সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। নদী থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২৮ জনের দেহ।
ইতিমধ্যে একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই অডিয়োতে শোনা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ৩০ সেকেন্ড আগে রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কন্ট্রোল রুম থেকে সতর্ক করা হয়েছিল সেনার কপ্টারটিকে। জানানো হয়েছিল, যাত্রিবাহী বিমানের সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে সেটি। যদিও কপ্টারের চালক তা গ্রাহ্য করেননি বলেই অভিযোগ। অডিয়ো শেষে কন্ট্রোলরুমে কর্মীদের দীর্ঘশ্বাস ফেলতেও শোনা যায়।
বুধবার রাতে মাঝআকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সে দেশের সেনার ব্ল্যাকহক কপ্টারের। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ উড়ানটি রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে নামছিল। তাতে যাত্রী, কর্মী মিলিয়ে সওয়ার ছিলেন প্রায় ৬৪ জন। কপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে দু’টিই পটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, বিমান দেখে আগেই চপারের সরে যাওয়া উচিত ছিল। সেনার কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে এই বক্তব্য জানালেও সরকারি বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। সেখানে এই দুর্ঘটনাকে ‘ভয়ানক বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।