Afghan Taliban

Afghan Crisis: গণতন্ত্র নয়, পরিষদীয় ব্যবস্থাই চালু হতে পারে আফগানিস্তানে, ইঙ্গিত তালিবান নেতা হাশিমির

তাঁর কথায়, “দেশে পরিষদীয় ব্যবস্থা চালু হলে তার প্রধান দায়িত্বে থাকতে পারেন আখুন্দজাদা। এবং সেই পদ দেশের প্রেসিডেন্ট পদের সমতুল্য হবে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ১০:৩০
Share:

ছবি: পিটিআই।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়, পরিষদীয় ব্যবস্থাই চালু হবে আফগানিস্তানে। এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তালিবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা।

Advertisement

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতি একেবারেই নয়। কারণ আমাদের দেশে সেই ভিত্তি নেই। তবে আফগানিস্তানে কী ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা জারি হবে তা সকলের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। শরিয়া আইন। এবং এটাই শেষ কথা।”

তবে যে ব্যবস্থাই চালু হোক না কেন, আখুন্দজাদা-ই যে তার মাথায় বসতে চলেছেন, তেমনই আভাস দিয়েছেন আখুন্দজাদা ঘনিষ্ঠ এক তালিবান নেতা ওয়াহিদুল্লা হাশিমি। তাঁর কথায়, “দেশে পরিষদীয় ব্যবস্থা চালু হলে তার প্রধান দায়িত্বে থাকতে পারেন আখুন্দজাদা। সেই পদ দেশের প্রেসিডেন্ট পদের সমতুল্য হবে।”

Advertisement

আখুন্দজাদার পরই রয়েছেন তিন তালিবান নেতা। তাঁরা হলেন, মোল্লা ওমরের ছেলে মৌলবি ইয়াকুব, সিরাজউদ্দিন হক্কানি এবং আব্দুল গনি বরাদর। আখুন্দজাদা যদি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ না করেন, তা হলে এই তিন জনের মধ্যে কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাশিমি। তবে এই সপ্তাহের শেষেই সব কিছু স্থির হয়ে যাবে বলে আভাস দিয়েছেন এই তালিবান নেতা।

হাশিমি আরও জানিয়েছেন, আফগান সেনা এবং পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তালিবান। তাঁদের সামিল করে দেশে একটা নতুন বাহিনী গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। সেই বাহিনীতে তালিবান যোদ্ধারাও থাকবেন। তবে বাহিনীতে যে আমূল পরিবর্তন আনা হবে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন হাশিমি। বিশেষ করে আফগান পাইলটদেরই দলে সামিল করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ তালিবানের কাছে দক্ষ পাইলটের অভাব। আফগান সেনার পাইলটরা কেউ তুরস্কে, কেউ আবার জার্মানি এবং ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হাশিমি বলেন, “আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি কাজে ফেরার জন্য।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement