হাসপাতালে উপচে পড়া কোভিড রোগীর ভিড়। ছবি: রয়টার্স।
কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়তেই বেজিংয়ের হাসপাতালগুলিতে শয্যার হাহাকার দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
কেউ শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালে মেঝেয়, কেউ অক্সিজেনের নল নাকেই বসে রয়েছেন হুইলচেয়ারে। অনেকে আবার স্ট্রেচারে। বেজিং জুড়ে হাসপাতালগুলিতে এমনই ভয়াবহ ছবি উঠে আসছে। চিকিৎসক এবং নার্সদের উপর চাপ ভয়ানক বাড়ছে। রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালগুলির নাজেহাল অবস্থা। যদিও কোভিড পরিস্থিতির আসল ছবি গোপন করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে।
একটি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক দিন আগেই দাবি করেছিল, চিনে প্রতি দিন কোভিডে মৃত্যু হচ্ছে ৯ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যাও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। চিনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ওমিক্রনের দু’টি উপরূপ বিএ. ৫.২ এবং বিএফ.৭। বুধবার এক বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু জানিয়েছে, চিনে ৯৭.৫ শতাংশই এই দু’টি উপরূপে আক্রান্ত। পাশাপাশি হু এটাও বলেছে, কোভিড সংক্রান্ত পরিসংখ্যান চিন প্রকাশ করলেও সেই তথ্যে ওই খামতি রয়েছে। তথ্য গোপন করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। মৃত্যু সংখ্যাও কমিয়ে দেখাচ্ছে চিন। এমনও অভিযোগ তুলেছে হু। যখন শ্মশানগুলিতে মরদেহ দাহের জন্য বিশাল লাইন পড়ছে, এমন ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেও চিন মৃত্যুর সংখ্যার যা হিসাব দেখাচ্ছে চিন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই আন্তর্জাতিক মহল দাবি করেছে।