আইনপ্রণেতাদের যুক্তি, ৬ সপ্তাহের পর থেকেই ভ্রূণে হৃৎস্পন্দন টের পাওয়া যায়।
গর্ভপাত নিয়ে বরাবরই কড়া আমেরিকার মিসিসিপি। এত দিন ১৮ সপ্তাহের পরে গর্ভপাত নিষিদ্ধ ছিল সেখানে। এ বার তা নামিয়ে আনা হল ৬ সপ্তাহে।
আইনপ্রণেতাদের যুক্তি, ৬ সপ্তাহের পর থেকেই ভ্রূণে হৃৎস্পন্দন টের পাওয়া যায়। ফলে তার পরে গর্ভপাত খুনের শামিল বলেই মনে করেন তাঁরা। তবে ধর্ষণের ফলে গর্ভসঞ্চার এবং মা বা ভ্রূণের কোনও মেডিক্যাল সমস্যা থাকলে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে।
মঙ্গলবার এ নিয়ে চুড়ান্ত বিল পাশ করলেন মিসিসিপি সেনেটরেরা। দীর্ঘদিন ধরেই গর্ভস্থ ভ্রূণের সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর রিপাবলিকান গভর্নর ফিল ব্রায়ান্ট। ‘হার্টবিট’ বিল পাশ করানোর জন্য মিসিসিপির আইনসভার সদস্যদের টুইটারে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তিনি ওই বিল সই করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দীর্ঘদিন ধরেই রিপাবলিকানরা গর্ভপাত নিয়ে কড়া পদক্ষেপের পক্ষপাতী। তবে ডেমোক্র্যাটরা আবার বরাবরই গর্ভপাতের স্বাধীনতার পক্ষেই সওয়াল করে এসেছেন।
‘প্ল্যানড পেরেন্টহুড সাউথইস্ট অ্যাডভোকেটস’-এর ডিরেক্টর ফেলিসিয়া ব্রাউন উইলিয়ামসের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই মহিলারা ৬ সপ্তাহের আগে জানতেই পারেন না যে তিনি মা হতে চলেছেন। ফলে এই বিলের মাধ্যমে আদতে গর্ভপাত বিষয়টিকেই বেআইনি ঘোষণা করতে চলেছেন মিসিসিপির আইনসভার সদস্যরা।
একই কথা বলেছেন সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ রাইটসের অ্যাটর্নি এলিজ়াবেথ স্মিথও। তিনি জানান, এমনিতেও কড়াকড়ির মিসিসিপিতে একটিই মাত্র গর্ভপাতের ক্লিনিক। ফলে ৬ সপ্তাহের পরে গর্ভপাত নয়, এই নিয়ম কার্যকর হলে গর্ভপাত বিষয়টিই কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মিসিসিপিতে পনেরো মাসের পরে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল গত বছরও। তবে তা মহিলাদের অধিকারের বিপক্ষে, এই যুক্তিতে বিচারপতি তখন তা খারিজ করে দিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহেই কেন্টাকিতে একই রকম ‘হার্টবিট’ বিল পাশ করা হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গেই তা খারিজ করে দেন বিচারক। আইয়োয়াতেও জানুয়ারি মাসে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই বিল। জর্জিয়া ও টেনেসি— দু’টি রাজ্যেই ‘হার্টবিট’ বিল আইন আনার কথা ভাবা হচ্ছে।