— প্রতীকী ছবি।
১৫ জুন প্রকাশিত হয়েছে সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে তথ্যাবলি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মন্দার কবলে চলে গিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ডের অর্থনীতি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সুদের উচ্চহারের জেরেই এই অবস্থা দ্বীপরাষ্ট্রের। যদিও দেশের অর্থমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন জানিয়েছেন, মন্দার কবলে যাওয়া মোটেও আশ্চর্যজনক কোনও ঘটনা নয়।
‘স্ট্যাটিস্টিক্স নিউ জ়িল্যান্ড’ বা ‘এসএনজ়েড’ বলছে, মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি পড়েছে ০.১ শতাংশ। যা আগের ত্রৈমাসিকে সঙ্কুচিত হয়েছিল ০.৭ শতাংশ। নিউ জ়িল্যান্ডের যাবতীয় অর্থনৈতিক তথ্য নির্ভর কাজ হয় এই দফতরের মাধ্যমে। নিউ জ়িল্যান্ডের অর্থনীতিতে দস্তুর, পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দা শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, নিউ জ়িল্যান্ডের অর্থনীতিতে মন্দার ছোঁয়া লাগল কী ভাবে? অর্থনীতিবিদদের একটি অংশের দাবি, এর শুরুটা হয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক লাগাতার সুদের হার (বেঞ্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট) বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে। সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১২ বার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সুদের হার যা রয়েছে তা ২০০৮ সাল থেকে সর্বোচ্চ। চড়া সুদের হারের জেরে মানুষ বাড়ি, গাড়ি কেনার জন্য অর্থ ঋণ নিতে পারছেন না। অন্যান্য খরচেও লাগাম টানতে হচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব পড়ছে। যদিও ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ নিউ জ়িল্যান্ড’ এই পরিস্থিতিতে যা ইঙ্গিত দিয়েছে তাতে আগামিদিনে সুদের হার আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তবে সুদের হার কমবে কবে, সে দিকেই তাকিয়ে মন্দা প্রভাবিত নিউ জ়িল্যান্ডের নাগরিকরা।
২০২০ সালেও মন্দার প্রভাব পড়েছিল নিউ জ়িল্যান্ডের অর্থনীতিতে। তবে সে বার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। করোনা অতিমারির জেরে রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও মন্দা কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছিল অর্থনীতি। তার পরে আবার মন্দার হানা নিউ জ়িল্যান্ডে।