International News

পার্লামেন্টে বসে দেড় মাসের শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন স্পিকার, প্রশংসায় ভাসছেন ম্যালার্ড

মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে বুধবার ছ’সপ্তাহের শিশুকে নিয়েই পার্লামেন্টে এসেছিলেন লেবার পার্টির এমপি দম্পতি তামাতি কফে ও তাঁর স্বামী টিম স্মিথ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়েলিংটন শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ২১:৪৭
Share:

ট্রেভর ম্যালার্ড। ছবি: এপি।

পার্লামেন্টে চলছে গুরুগম্ভীর আলোচনা। স্পিকারের আসনে বসে ট্রেভর ম্যালার্ড। তবে একা নন, তাঁর কোলে রয়েছে এক দুধের শিশু। ফিডিং বোতলে করে তাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন ম্যালার্ড। মাঝেমধ্যে তাকে দোল দিয়ে ঘুম পাড়ানোরও চেষ্টা করছেন। বুধবার নিউজিল্যান্ডের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের অধিবেশন চলাকালীন এমন ছবিই দেখা গেল। ‘বেবিসিটার’ স্পিকারের এই ছবি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই, গোটা বিশ্বের প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছেন ট্রেভর ম্যালার্ড।

Advertisement

মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে বুধবার ছ’সপ্তাহের শিশুকে নিয়েই পার্লামেন্টে এসেছিলেন লেবার পার্টির এমপি দম্পতি তামাতি কফে ও তাঁর স্বামী টিম স্মিথ। জ্বালানির মূল্য নিয়ে তামাতি যখন তুমুল আলোচনায় ব্যস্ত, সে সময়ে তাঁর দুধের শিশু তুতানেকাই স্মিথ-কফেকে কোলে তুলে নেন স্পিকার ট্রেভর ম্যালার্ড।অধিবেশনের মাঝে থাকলেও তার যত্নআত্তিতে কসুর করেননি তিন সন্তানের পিতা ম্যালার্ড। পরম স্নেহে তাকে দুধ খাওয়ানো বা ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তারই মাঝে অধিবেশন পরিচালনাও করতে থাকেন।

টুইটারে সে দিনের ঘটনার ছবি দিয়ে ম্যালার্ড লিখেছেন, ‘সাধারণত স্পিকারের চেয়ারটি কেবলমাত্র প্রিসাইডিং অফিসারই ব্যবহার করতে পারেন। তবে আজ এক জন ভিআইপি-ও আমার সঙ্গে চেয়ারে বসেছেন।’

Advertisement

ম্যালার্ডের ওই ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। এক জন লিখেছেন, ‘আয়তনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড খুব ছোট দেশ হতে পারে। তবে বিশ্বকে বেশ বড় বিষয় শেখানোর রয়েছে। দারুণ ছবি!’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘বিশ্ব রাজনীতিতে এ ধরনের (ছবি) আরও চাই!’ কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে যাঁরা সরব হন, তাঁরাও এ ছবি দেখে প্রশংসা করতে থামেননি। এক জন টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের এই রকমের ছবি আরও দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কর্মস্থলে যাতে এ ধরনের আচরণ আরও দেখা যায়, তার ব্যবস্থা করা দরকার।’ যাঁকে ঘিরে প্রশংসার বান ডেকেছে, সেই ম্যালার্ড নিজে কী ভাবছেন? তাঁর মতে, নিউজিল্যান্ডের আরও অনেক কর্মচারী নিজের কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের আচরণ করবেন। তাঁর কথায়: ‘‘এতে কর্মক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement