Swine Flu

চিনে মিলল নতুন মারণ ভাইরাস, এরও ক্ষমতা রয়েছে অতিমারির

সোয়াইন ফ্লু-র নতুন এই ভাইরাসটির নাম জি৪।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ১১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাস কি উহানের ল্যাবে তৈরি হয়েছিল, এ নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। ২০১৯-এর নভেম্বরে উহান থেকে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। এখনও গোটা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের।

Advertisement

গোটা বিশ্ব যখন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে, ঠিক সেই সময়ই আরও এক ভাইরাসের খোঁজ মিলল চিনে। নতুন এই ভাইরাস ফের অতিমারির আকার ধারণ করতে পারে বলে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিনের গবেষকরা।

নতুন এই ভাইরাসটি সোয়াইন ফ্লু গোত্রের। নাম জি৪। গবেষকদের দাবি, নতুন এই ভাইরাসটির অতিমারির ক্ষমতা রয়েছে। মার্কিন সায়েন্স জার্নাল পিএনএসএ প্রকাশিত রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ভাইরাসটি মারাত্মক সংক্রামক, এমনটাও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

Advertisement

নতুন এই ভাইরাস এইচ১এন১ ভাইরাসেরই একটি গোত্র বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই সায়েন্স জার্নালে। চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর দাবি, এই ভাইরাসটিও খুব সংক্রামক।

২০১১-১৮ সালের মধ্যে গবেষকরা ৩০ হাজার শুয়োরের লালারস সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষার পর ১৭৯ ধরনের সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস চিহ্নিত করেছেন। এই ভাইরাসগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই নতুন ধরনের। এমনটাই দাবি করেছেন চিনা গবেষকরা। ভাইরাসগুলো পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, মরসুমি জ্বরে মানবদেহে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা জি৪ ভাইরাসকে ঠেকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।

আরও পড়ুন: করোনায় মোট আক্রান্ত পাঁচ লক্ষ ৬৬ হাজার, সুস্থ হয়ে উঠলেন ৫৯ শতাংশ

বিজ্ঞানীদের দাবি, পশু থেকে মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ মিললেও, মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হয় কি না, হলেও কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, তা নিয়েই ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে।

২০০৯-এ এইচ১এন১ ভাইরাসের সংক্রমণে অতিমারির সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন এই ভাইরাস নিয়ে তাই বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ এর আবির্ভাব চিন থেকেই হয়েছিল। তার পর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অতিমারি সৃষ্টি করেছে এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই এক কোটিরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement