ছবি: রয়টার্স।
ব্রিটেনের পর এ বার ইটালিতেও দু’জনের দেহে মিলল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি)। রবিবার সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।
ইটালির স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কয়েক দিন আগেই ব্রিটেন থেকে এক আক্রান্ত ও তাঁর সঙ্গী ইটালিতে ফেরেন। বিমানে প্রথমে তাঁরা রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে নামেন। আপাতত তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন প্রথম মেলে ব্রিটেনে। এই স্ট্রেন আগের তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে বরিস জনসনের সরকার। নতুন এই স্ট্রেনকে নিয়ে গোটা ইউরোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইউরোপের বহু দেশ ব্রিটেন থেকে আসা সমস্ত বিমানের ঢোকা নিষেধ করেছে। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। ব্রিটেন সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বেলজিয়াম। নতুন করে যাতে সংক্রমণ ছ়ড়িয়ে না পড়ে তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জার্মানি। ইটালিতে করোনার নতুন স্ট্রেন ঢুকে পড়ায় তারাও ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, স্বীকার করল ব্রিটেন
ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেনের খবর মিলতেই সৌদি আরব রবিবারই সে দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইউরোপ বা অন্য যে কোনও দেশ থেকে আসা যাত্রীদের দু’সপ্তাহের জন্য নিভৃতবাসে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে করোনার পরীক্ষাও করাতে হবে তাঁদের। সৌদির পাশাপাশি কুয়েতও ব্রিটেনের যাত্রিবাহী বিমানের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গত সেপ্টম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে করোনার এই নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকে দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে এই স্ট্রেন এবং খুব দ্রুত গতিতে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনার এই নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যা খুব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই নতুন স্ট্রেনকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এই মিউটেশন আশ্চর্যজনক নয়। তাঁদের দাবি, করোনাভাইরাস যখন খুঁজে পাওয়া গেল তখনই দেখা গিয়েছে হাজারেরও বেশি বার মিউটেশনের ক্ষমতা রয়েছে এই ভাইরাসের।