মহাকাশে নক্ষত্র মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে প্রভাব পড়ে অন্যান্য গ্রহের উপরেও। ফাইল ছবি।
মহাকাশে প্রতিনিয়ত কত কিছুই না হয়ে চলেছে। পৃথিবীর এক কোণে বসে তার ১ শতাংশও মানুষের চোখে পড়ে না। টেলিস্কোপে চোখ রেখে, গবেষণাপত্রের পাতা উল্টে কিছু কিছু মহাজাগতিক ঘটনা মানুষ জানতে পারে বটে, কিন্তু সিংহভাগই থেকে যায় অজানা।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মাঝেমধ্যেই নক্ষত্র বা তারার মৃত্যুর খবর দেন। পৃথিবীতে বসে তাঁরা জানতে পারেন মহাকাশের কোন প্রান্তে কত আলোকবর্ষ দূরে তীব্র বিস্ফোরণে ফেটে উঠছে কোনও নক্ষত্র, কোন নক্ষত্রের অপমৃত্যু হচ্ছে মহাশূন্যে। তবে এ বারের গবেষণার ফল কিছুটা চিন্তার। নক্ষত্রের এই মৃত্যুর ফলে প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর উপরেও, সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন, কোনও নক্ষত্রে বিস্ফোরণের ফলে তা অস্তিত্বহীন হয়ে গেলে মহাকাশে তার প্রভাবে কী কী হতে পারে। এ বিষয়ে এত দিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের যে ধারণা ছিল, সাম্প্রতিক গবেষণার পর তা বদলে গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশে যে তারার মৃত্যু ঘটছে, তার কাছাকাছি অর্থাৎ ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে থাকা অন্য যে কোনও গ্রহ বা উপগ্রহের উপর ওই বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রভাবে গ্রহের অভ্যন্তরীণ আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে।
পৃথিবী থেকে ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত কোনও নক্ষত্র যদি মহাকাশে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, তবে তার প্রভাব পড়বে পৃথিবীর উপরেও। পৃথিবীর আবহাওয়া এর ফলে বদলে যেতে পারে।
কোনও নক্ষত্র প্রসারিত হতে হতে নিজের ভর বিকিরণ করতে থাকলে সেই পরিস্থিতিকে সুপারনোভা বলা হয়। এই সুপারনোভার ফলে নির্গত হয় এক্স রশ্মি। যা অন্য যে কোনও গ্রহের বায়ুমণ্ডল, পরিবেশ বদলে দিতে সক্ষম।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীর কাছাকাছি এমন কোনও নক্ষত্র নেই, যা মৃত্যুর মুখে। নিরাপদ দূরত্বেই অবস্থান করছে পৃথিবী। তবে ভবিষ্যতে যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে বিপদ হতে পারে। সুপারনোভা নিয়ে আরও তথ্য জানতে গবেষণা জারি রেখেছেন বিশেষজ্ঞেরা।