—প্রতীকী ছবি।
এ বার কি সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেতে চলেছে নেপালে? এমন জল্পনা উস্কে দিয়ে সম্প্রতি সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ বিবাহের রেজিস্ট্রেশন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত রায় দেয়নি সে দেশের শীর্ষ আদালত। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমলিঙ্গ বিবাহের নথিভুক্তিকরণ চালিয়ে যেতে বলেছে আদালত। আদালতের এই অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশকে ‘বড় জয়’ বলে মনে করছে নেপালের সমকামীদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করা সংগঠনগুলি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি তিল প্রসাদ শ্রেষ্ঠার বেঞ্চ একটি নির্দেশে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভাকে সমলিঙ্গ বিবাহের রেজিস্ট্রেশন শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সমকামী দম্পতিদের সমান সুযোগ এবং অধিকার দেওয়ার দাবিতে সম্প্রতি নেপালের সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই সরকারকে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই বিষয়ে নেপাল সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সরকারের বক্তব্য শোনার পরেই সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে চাইছে আদালত।
২০১৫ সালে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশনামায় জানায়, লিঙ্গ এবং যৌন সংক্রান্ত বিষয়ে সংখ্যালঘু মানুষদের উপর প্রযুক্ত সমস্ত ‘বৈষম্যমূলক’ আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে সমলিঙ্গ বিবাহের জন্য আলাদা আইন তৈরির কথাও বলে আদালত। কিন্তু অভিযোগ, তার পরে দেশের কোনও সরকারই এই বিষয়ে অগ্রসর হয়নি। নেপালে নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের একাংশের অভিযোগ, সে দেশের বর্তমান আইনে বিবাহ সংক্রান্ত আইন ‘বৈষম্যমূলক’। তার কারণ হিসাবে তাঁদের যুক্তি, নেপালের বর্তমান আইন মোতাবেক, বিবাহ কেবল নারী এবং পুরুষের মধ্যেই হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের এই অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর সে দেশে সমকামী যুগলদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ব্লু ডায়মন্ড’-এর সভাপতি পিঙ্কি গুরুং ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’কে বলেছেন, “আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। শতাধিক দম্পতি এর ফলে উপকৃত হবেন।”