প্রতীকী ছবি।
চিন যে শুধু লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে দখলদারি করছে তা নয়, সীমান্ত টপকে গোরখা জেলার রুই নামে নেপালের একটি গ্রাম ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাও কব্জা করে নিয়েছে। নেপাল তথা বিশ্বকে এই খবর জানিয়েছিলেন কাঠমান্ডুর একটি দৈনিকের যে সিনিয়র সাংবাদিক, এক দিন নিখোঁজ থাকার পরে তাঁর মৃতদেহ মিলেছে বাগমতী নদীর তীরে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, খুন করা হয়েছে নেপালি দৈনিক কান্তিপুরের সহকারী সম্পাদক বলরাম বানিয়া (৫০)-কে।
বানিয়ার মৃত্যুর উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে নেপালের বেশ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন। কিন্তু সরকারের তরফে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না। যেমন চিনের আগ্রাসন ও ভূখণ্ডে দখলদারির বিষয়টি সামনে আসার পরেও কে পি শর্মা ওলির সরকার তা নিয়ে নিরুত্তাপ। প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, ‘চিনের কাছে মেরুদণ্ড জমা দেওয়ার কারণেই যোগ্য প্রতিবাদ সরকার করতে পারছে না।’ এর পরে সাংবাদিক বানিয়ার খুন নিয়ে আতঙ্কিত সাংবাদিকেরা।
বলরাম বানিয়ার পরিবার জানিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এর পরেই তাঁর স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মান্ডুতে বাগমতী নদীর তীরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জমিতে একটি দেহ পড়ে থাকার খবর মেলে। পুলিশ গিয়ে বানিয়ার দেহ বলে সেটিকে চিহ্নিত করে। এ ঘটনায় বানিয়ার পরিবার যেমন বিস্মিত। স্তম্ভিত গোটা দেশ। পার্লামেন্ট ও
রাজনীতি নিয়ে খবর করা বানিয়া পাঠকদের কাছে বেশ পরিচিত নাম। সবিস্তার মানচিত্র-সহ চিনা আগ্রাসনের প্রতিবেদনটিও জনমনে সাড়া ফেলেছিল।