বিমানটিতে ৫০ জন নেপালি যাত্রী-সহ মোট ১৫০-রও বেশি যাত্রী ছিলেন। ছবি: টুইটার।
বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল নেপাল থেকে দুবাইগামী একটি ‘ফ্লাই দুবাই’ বিমানের ইঞ্জিনে। সোমবার সকালে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু যাত্রা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিমানটির একটি ইঞ্জিনে আগুনের শিখা লক্ষ করা যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিমানটিতে ৫০ জন নেপালি যাত্রী-সহ মোট ১৫০-রও বেশি যাত্রী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, কাঠমান্ডুর আকাশে তাঁরা বিমানটিতে আগুন ধরতে দেখেন। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রাথমিকভাবে পিটিআই জানিয়েছিল যে, বিমানটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার চেষ্টা করছিল। কোনও রকম বিপর্যয় রুখতে দমকলের ইঞ্জিনগুলিকেও তৈরি রাখা হয়েছিল। কিন্তু, নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানচালক কিছু সময়ের জন্য জ্বলন্ত ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন এবং অন্য ইঞ্জিনের সাহায্যে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুদান কিরাতি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানান যে, বিমানটি নিরাপদে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেও ভয়ঙ্কর এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল নেপাল। গত ১৫ জানুয়ারি সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগে ৭২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে ইয়েতি বিমান সংস্থার এটিআর-৭২ বিমান। মাঝ আকাশেই বিমানটি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উল্টে গিয়ে ভয়ঙ্কর শব্দ করে মুখ থুবড়ে মাটিতে ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় ৫ জন ভারতীয়-সহ মৃত্যু হয় মোট ৬৭ জনের।