International News

নেপালের মানচিত্রে ভারতের তিন এলাকা, সমর্থনে সওয়াল প্রধানমন্ত্রী ওলির

এর আগে নেপালের ‘নতুন মানচিত্রে’ তিনটি বিতর্কিত এলাকা- লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানিকে তাদের ভূখণ্ডে দেখানো হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, ওই নতুন মানচিত্রটি বানানো হয়েছে নেপালের মন্ত্রিসভার সম্মতিতেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু (নেপাল) শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ১২:৫৯
Share:

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। -ফাইল ছবি।

নতুন মানচিত্র নিয়ে দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই সীমান্তের তিনটি এলাকাকে নেপালেরই বলে দাবি করলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার ওলি কাঠমান্ডুতে নেপালি সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘ভাবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি পার্লামেন্টকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানির মতো তিনটি এলাকার বিষয়টি ঢাকা-চাপা পড়ে যাবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Advertisement

এর আগে নেপালের ‘নতুন মানচিত্রে’ তিনটি বিতর্কিত এলাকা- লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানিকে তাদের ভূখণ্ডে দেখানো হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, ওই নতুন মানচিত্রটি বানানো হয়েছে নেপালের মন্ত্রিসভার সম্মতিতেই। গত কাল ওলি বলেন, ‘‘এই তিনটি এলাকার বিষয়টিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। কূটনৈতিক আলাপ, আলোচনার মাধ্যমেই তিনটি এলাকাকে নেপালে ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা চালানো হবে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়ে যে নতুন মানচিত্রটি ছাপা হয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নেপালের সংবিধান সংশোধন করা হবে।’’ দিল্লির বক্তব্য, তিনটি এলাকাই ভারতের।

ভারত ও নেপালের মধ্যে এমন ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার (বা, ১ হাজার ১১৮ মাইল) সীমান্ত রয়েছে, যা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা নয়। খোলা সীমান্ত। যে লিপুলেখ গিরিপথকে নেপাল তাদের এলাকা বলে দাবি করছে, ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী, সেই এলাকাটিকে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার ভারতের সঙ্গে নেপালের সীমান্তের পশ্চিম দিক বলে জানিয়েছিল। নেপালের সাম্প্রতিক দাবি সেই চুক্তির ভিত্তিতেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমপানের মোকাবিলায় ফোনে মমতাকে সহযোগিতার আশ্বাস অমিতের

আরও পড়ুন: পুরীর মন্দিরে পান্ডাদের ফোন করছেন ভক্তরা

শুধু তাই নয়, ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-নেপাল সীমান্তের যে দু’টি এলাকা লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানিতে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা, কাঠমান্ডু এখন ওই দু’টি এলাকাকেও তাদের বলে দাবি করছে।

উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথের সঙ্গে মানস সরোবরের যোগাযোগ গড়ে তুলতে গত ৮ মে একটি নতুন সড়ক পথের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ জানায় কাঠামান্ডু। ওই এলাকায় নেপালের একটি নিরাপত্তা চৌকিও রয়েছে। ওই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘‘উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওই সড়ক পথটি সম্পূর্ণ ভাবেই পড়ে ভারতীয় এলাকায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement