হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্তকে। — ফাইল চিত্র
উহানে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি ভাবে যা বলা হচ্ছে আসলে তা ১০ গুণ বেশি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুবেই প্রদেশের উহান-সহ বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছিল চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ফর প্রিভেনশন (সিডিসি)। তাতেই ধরা পড়েছে এই ছবি। সোমবার ওই গবেষণার ফলাফল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে সিডিসি। তবে তা কোথায় ছাপা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
করোনার ভরকেন্দ্র উহানের ৩৪ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছিল সিডিসি। এ ছাড়া বেজিং এবং সাংহাইয়ের মতো শহরেও পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল গুয়াংডং, জিয়াংসু, সিচুয়ান এবং লিয়াওনিং রাজ্যেও। মূল লক্ষ্য ছিল, জন সাধারণের মধ্যে করোনা সংক্রমণের অভিঘাত কতটা তার আঁচ পাওয়া।
গবেষণার ফলাফল বিস্মিত করেছে গবেষকদের। উহানের জনসংখ্যা ১ কোটির কিছু বেশি। সেখানে ৪.৩ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি ধরা পড়েছে। অথচ খাতায়কলমে চিনের ওই মেট্রো শহরে করোনা সংক্রমণ রবিবার পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজার ৩৫৪ জন। এমন তথ্যই দিচ্ছে উহান মিউনিসিপ্যাল হেল্থ কমিশন। উহানের বাইরে করোনা সংক্রমণের চেহারাটা বেশ ক্ষীণ। হুবেই প্রদেশের অন্যন্য শহরে মাত্র .৪৪ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি ধরা পড়েছে। আবার হুবেই প্রদেশের বাইরে ১২ হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ২ জনের শরীরে ওই অ্যান্টিবডি মিলেছে।
আরও পড়ুন: ভারত-চিন পাঞ্জার নতুন মঞ্চ নেপাল
আরও পড়ুন: বাইডেনের মন্ত্রণাগোষ্ঠীতে এ বার কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত আয়েশা শাহ
বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, অতিমারির আক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকার সময় করোনা আক্রান্ত অনেকের নামই সরকারি খাতায় ওঠেনি। তার মধ্যে উপসর্গহীন রোগীরাও রয়েছেন। তার জেরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের থেকে বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।