নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।
চার বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পাকিস্তানে ফিরলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে তদারকি সরকারের শাসনাধীনে থাকা পাকিস্তানে নওয়াজের প্রত্যাবর্তন তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ওরফে পিএমএল(এন)-কে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
দু’টি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে নওয়াজের। এর আগে নও়য়াজকে ১৪ বছরের জন্য কয়েদবাসের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। কিন্তু চিকিৎসার কারণে তিনি লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। পিএমএল(এন) পাকিস্তানের ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজের ভাই শাহবাজ় শরিফ। শাহবাজ়ই প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভোটের আগে পাকিস্তানে ফিরে এসে দলের নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন নওয়াজ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তিনি বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিল। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি আদালত, নওয়াজকে রক্ষাকবচ দিয়ে জানায়, আগামী ২৪ অক্টোবর অবধি গ্রেফতার করা যাবে না নওয়াজকে।
তবে নওয়াজের বিরুদ্ধে মামলাগুলি চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। নওয়াজের আইনজীবী জানিয়েছেন, আইনি উপায়েই মামলাগুলি লড়বেন তাঁর মক্কেল। নওয়াজ আদৌ ভোটে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে তাঁর দলের বক্তব্য, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নওয়াজই। পাকিস্তানের আর এক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা ইমরান খানও জেলবন্দি। মনে করা হচ্ছে দুই দলের মধ্যেই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে।
শনিবার দুপুরে একটি চাটার্ড বিমানে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদে পৌঁছন নওয়াজ। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষনেতাদের একাংশ এবং পরিবারের সদস্যেরা। নওয়াজ দেশে ফেরায় গ্রেটার ইকবাল পার্কে মিছিলের আয়োজন করেছেন পিএমএল(এন) সমর্থকেরা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত সাত হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটে এমনিতেই জেরবার পাকিস্তান। এই আবহে হতে চলা সাধারণ নির্বাচন এ বার আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।