star

Star Light: ওয়েবের ছবিতে তারার আলো

এই টেলিস্কোপে রয়েছে একটি ষড়ভুজ আয়না। যার প্রতিটি বাহু একটি কফি টেবিলের আকারের। এগুলি একজোটে একটি ফোকাস তৈরি করবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কেপ ক্যানাভেরাল শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৩
Share:

নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা সেই ছবি।

প্রথম ছবি পাঠাল নাসার নয়া স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। তাতে দেখা গেল ২৫৮ আলোকবর্ষ দূরে একটি তারার আলো। শুধু তা-ই নয়, নিজের একটি নিজস্বীও পাঠিয়েছে সে। তাতে ঝকঝক করছে তার সোনার আয়না।

Advertisement

গত বছর ২৫ ডিসেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয় জেমস ওয়েবকে। এই প্রথম মহাকাশে থেকে এ ভাবে নজরদারি চালানো হবে বহির্বিশ্বের উপরে। মহাকাশে ২১ ফুট দীর্ঘ এমন বৃহদাকার দূরবীক্ষণ যন্ত্র পাঠানো হয়েছে এই প্রথম। বলা ভাল, এটি অবজ়ারভেটরি বা মহাকাশ পর্যবেক্ষণাগার। ওয়েবের তোলা প্রথম ছবিটিতে দেখা গিয়েছে ২৫৮ আলোকবর্ষ দূরে উরসা মেজর নক্ষত্রপুঞ্জের একটি তারাকে। নাম ‘এইচডি ৮৪৪০৬’। এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত, বাল্টিমোরের ‘স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানী মার্শাল পেরিন বলেন, ‘‘সত্যি বিস্ময়কর মুহূর্ত।’’

এই টেলিস্কোপে রয়েছে একটি ষড়ভুজ আয়না। যার প্রতিটি বাহু একটি কফি টেবিলের আকারের। এগুলি একজোটে একটি ফোকাস তৈরি করবে। এ ভাবে পুরোদমে পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু হবে জুনের শেষ থেকে।

Advertisement

হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরসূরি এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি ১০০০ কোটি ডলার ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি ইনফ্রারেড অবজ়ারভেটরি। ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে চিহ্নিত করবে এ। ১৯৯০ সালে হাবলের উৎক্ষেপণের পরে কিছু গোলমাল দেখা গিয়েছিল। তিন বছর লেগেছিল সে সব ঠিক করতে। জেমস ওয়েবের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু ধরা পড়েনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement