রামমন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
রাম ও রামায়ণকে নিয়ে আজ রামমন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কূটনৈতিক বার্তা দেবেন, এমনটা প্রত্যাশিত ছিল। এর আগেও উত্তরপ্রদেশে এবং দিল্লিতে রামায়ণকে কেন্দ্র করে আসিয়ান দেশগুলিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু আজ মোদীর চমক, চিনকেও রামায়ণের আওতায় নিয়ে আসা!
আজ তাঁর বক্তৃতায় বিভিন্ন রাষ্ট্রে রাম এবং রামায়ণের প্রভাবের কথা বলতে গিয়ে চিনের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী। বিষয়টি এই মুহূর্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে চলছে সেনা সংঘাতের পরিস্থিতি। এর আগে কাম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তাইল্যান্ডের মতো দেশের রামায়ণ নিয়ে অনুষ্ঠান হলেও, চিন এই তালিকায় ছিল না। গবেষকেরা বরাবরই বলে এসেছেন যে রামায়ণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বহু পঠিত এবং পরিবর্তিত হলেও, চিনে এই মহাকাব্যটি অনুদিত হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে এই তথ্য ঠিক নয়। হান সাম্রাজ্যের সময় ইয়ুনান প্রদেশে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাধ্যমে রামায়ণের গল্প সেখানকার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তিত হয়ে ছড়িয়েছিল বলে চিনা গবেষকদের একাংশের সাম্প্রতিক মত।
আজ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন নেপালেরও, যাদের সঙ্গে ভূখণ্ড নিয়ে টানাপড়েন চলছে ভারতের। মোদীর কথায়, ‘‘বিভিন্ন রামায়ণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়। বহু দেশ ভগবান রামকে কুর্নিশ করে। নেপাল রামচন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মাতা জানকীর মাধ্যমে।’’ সব ধর্মের মধ্যেই যে রাম জনপ্রিয়, সে কথা তুলে ধরতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের সর্বাধিক মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। আজও রামচন্দ্র সেখানে পূজিত হন।’’ পাশাপাশি ইরান, মালয়েশিয়া এবং তাইল্যান্ডের রামায়ণের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ তাঁর বক্তৃতায় বর্হিবিশ্বের সঙ্গে রামজন্মভূমি মন্দিরকে সংযুক্ত করতে চেয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিশ্চিত, এই সব দেশের মানুষ আজ মন্দির নির্মাণের খবরে খুশি। কারণ রামচন্দ্র বিশ্বের সবার জন্যই।’’