মাল্যদের ফেরাতে আর্জি টেরেসাকে

হামবুর্গে আজ জি-২০ আসরে মুখোমুখি হন মোদী-মে। সেই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ের পাশাপাশি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ নিয়েও দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়েছে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হামবুর্গ শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৬
Share:

বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণ নিয়ে মোদী ও মে-র কথা হয়েছে। ছবি: এএফপি।

বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরাতে এ বার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হামবুর্গে আজ জি-২০ আসরে মুখোমুখি হন মোদী-মে। সেই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ের পাশাপাশি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ নিয়েও দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়েছে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে। তবে মাল্যর পাশাপাশি, ‘ওয়ান্টেড’ প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদীর নামও আলোচনায় উঠে এসেছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি বাগলে। ইঙ্গিতে শুধু জানান, পলাতক কোনও অপরাধীকেই ছাড় দেবে না কেন্দ্র।

Advertisement

প্রাক্তন কিঙ্গফিশার কর্তা তথা লিকার ব্যারন মাল্যর বিরুদ্ধে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগ। গ্রেফতারি এড়াতে বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে তিনি পড়ে রয়েছেন ব্রিটেনে। ভারতের অনুরোধেই গত এপ্রিলে তাঁকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান মাল্য। তাঁর প্রত্যর্পণ নিয়ে মামলা চলছে লন্ডনের আদালতে। মাল্য বরাবর নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তাঁকে ভারতে ফেরাতে মরিয়া নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, সেই সূত্রেই আজ মে-র সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান মোদী।

আরও পড়ুন: ভারতে সাবধান! বলল চিন

Advertisement

ব্রিটেন থেকে ললিত মোদীকেও ফেরাতে চাইছে কেন্দ্র। ২০০৯-এ আইপিএল প্রধান থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বিদেশে টিভি-সত্ত্ব বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ২০১২-য় এ নিয়ে মামলা দায়ের করে চেন্নাই পুলিশ। গ্রেফতারি এড়াতে তিনিও আশ্রয় নেন ব্রিটেনে।

মে-মোদীর এই বৈঠকের পরেও মাল্যদের দেশে ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে নয়াদিল্লি। কারণ, ইতিহাস যে মোটেই তেমন ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে না! ১৯৯২ সালে ব্রিটেনের সঙ্গে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করে ভারত। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র এক জনকেই ফেরানো গিয়েছে। ২০০২ সালে গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় অভিযুক্ত সমীরভাই বিনুভাই পটেলকে গত বছর অক্টোবরে ব্রিটেন থেকে আনা হয় ভারতে। এ বার সেই তালিকায় মাল্য-মোদীর নাম ঢোকে কি না, জানতে মুখিয়ে দেশ।

বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, জি-২০ আসরে সন্ত্রাস দমন নিয়েও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সবিস্তার কথা হয়েছে মোদীর। গত কাল জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কথা হয়েছে ফ্রান্স, ব্রিটেন সুইডেনের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও। গোপাল বাগলের দাবি, ‘‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন আলোচনাতেও প্রভাবশালী ভূমিকা নিয়েছে ভারত।’’ সূত্রের খবর, গত কাল ইউরোপীয় নেতাদের সামনে এ নিয়ে ১১ দফা অ্যাকশন প্ল্যান তুলে ধরেন মোদী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গিদের এক গোত্রে ফেলে সুর চড়ান লস্কর, জইশ, আইএস, আল কায়দা এবং বোকো হারামের বিরুদ্ধে। এমনকী সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশগুলিকে জি-২০ আসরে বয়কট করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement