প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে প্রবাসী ভারতীয়দের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়জয়কার শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর জন্য সম্ভব হয়নি। ভারত যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তা-ও শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর জন্যই সম্ভব হয়নি। সম্ভব হয়েছে নয়া ভারতের জন্য জনগণ ভোটের মাধ্যমে যে অনুমোদন দিয়েছে, সে জন্য। ফ্রান্সের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই নয়া ভারতের পক্ষে জোরদার বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর মতে, নয়া ভারতে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, সন্ত্রাসবাদের উপর লাগাম দেওয়া হচ্ছে। রাশ টানা হচ্ছে নাগরিকের অর্থ লুঠপাট এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেও।
শুক্রবার প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে প্রবাসী ভারতীয়দের এক সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে গত শতকের পাঁচ ও ছয়ের দশকে ফ্রান্সে এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ভারতীয়দের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একটি স্মৃতিসৌধেরও উদ্ধোধন করেন মোদী। এর পর ওই সমাবেশমঞ্চে নয়া ভারতের পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মোদীর জন্য ভারত এগিয়ে চলছে, এমনটা নয়... ভারতের জনগণ ভোটের মাধ্যমে সে অনুমোদন দিয়েছে।’’
নিজের ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ত্রিদেশীয় সফরের অঙ্গ হিসাবে ফ্রান্সে পৌঁছেছেন তিনি। কাশ্মীর প্রশ্নে ইতিমধ্যেই সে দেশের সমর্থন পেয়েছে ভারত। এ দিন জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘‘নয়া ভারতে অস্থায়ী বলে কোনও কিছুর জায়গা নেই। আপনারা দেখে থাকবেন, ১২৫ কোটির ভারতে, মহাত্মা গাঁধী, গৌতম বুদ্ধ, রাম ও কৃষ্ণের ভারতে যা কিছু ‘অস্থায়ী’ ছিল, তার অপসারণ ঘটাতে দীর্ঘ ৭০ বছর সময় লেগেছে।’’
আরও পড়ুন: ফের বিপাকে ইমরান, সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক স্তরে
আরও পড়ুন: ৭০ বছরে ‘অভূতপূর্ব’ আর্থিক সঙ্কট! মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন নীতি আয়োগ কর্তা
নিজের ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছবি: পিটিআই।
এ দিনের ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গ ছাড়াও দ্বিতীয় বারের শাসনকালে বিজেপি সরকারের সাফল্যের উল্লেখও করেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সরকারের ৭৫ দিন পূর্তির জয়গান করে তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন, কতটা সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদেও রেকর্ড গতিতে কাজ হয়েছে। ১০০ দিনের মাইলফলক তো এখনও আসেনি। মনে রাখবেন, সাধারণত সরকারের প্রথম ৫০-৭৫ দিন সব কিছু গোছাতে আর অভিনন্দন বার্তা নিতে নিতেই কেটে যায়। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা দেখছেন, ভারত তার কাজটা বোঝে!’’