নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাচ্ছেন জর্জিয়া মেলোনি। ছবি: পিটিআই।
প্রযুক্তিকে মানবমুখী করার প্রসঙ্গে আজ ইটালিতে জি৭ আমন্ত্রণমূলক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সরকারের উদাহরণকে তুলে ধরলেন। তাঁর কথায়, প্রযুক্তিকে সফল হতে গেলে তাকে মানবমুখী দৃষ্টিতে ব্যবহার করার প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে মোদী ভারতে ডিজিটাল প্রযুক্তি কী ভাবে সাধারণ মানুষের পরিষেবায় কাজে লাগে তার উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় সময় গভীর রাতে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে।
আজ জি৭-এর আমন্ত্রণমূলক সম্মেলনে আলোচনার বিষয় ছিল এআই, শক্তি, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগর। প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই ভারতের নির্বাচনকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হিসাবে তুলে ধরে বলেছেন, ওই নির্বাচনে জিতে জি৭ সম্মেলনে আসতে পারা তাঁর কাছে পরম সন্তোষের। তিনি জানিয়েছেন, ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ভারত কাজ শুরু করে দিয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে গ্লাসগো আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ২০৭০ সালে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করেছিলেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই ঘোষণা বাস্তবায়িত করতে শক্তিক্ষেত্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন। যা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনে কয়লা ও পেট্রল-ডিজ়েলের উপর নির্ভর না করে সৌর, বায়ু ও পরমাণু, সবুজ হাইড্রোজ়েন ইত্যাদি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে পুরোপুরি। আজ মোদী বলেন, দেশের শক্তির ভাঁড়ারের ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটানো নির্ভর করে সম্ভাব্য উৎস থেকে শক্তি সংগ্রহ করা, সেটার টেকসই দাম নির্ধারণ করা, এবং তার ব্যবহারযোগ্যতার উপরে। তাঁর ‘মিশন লাইফ’-এর উল্লেখ করে বৃক্ষরোপণকে আন্তর্জাতিক আন্দোলনের পর্যায়ভুক্ত করার দাবি জানান মোদী।
পাশাপাশি আফ্রিকা-সহ দরিদ্র এবং অনুন্নত দেশগুলির হয়েও আজ সওয়াল করেছেন মোদী উন্নত দেশের দরবারে। জানিয়েছেন, ভারতের নেতৃত্বে হওয়া গত বছরের জি২০ সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে ওই গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত করা গিয়েছে, এটা ভারতের পক্ষে গৌরবের।