নরেন্দ্র মোদী ও শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র।
সৌদি আরবের রিয়াধে আগামী নভেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন ওঁরা দু’জনেই। কিন্তু সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের কোনও একান্ত বৈঠক হবে কি? আপাতত কূটনৈতিক মহলে জল্পনা এই প্রশ্ন ঘিরেই। আর সেই জল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে বুধবার কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লভরভের উপস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর ভার্চুয়াল বৈঠকে এমন একটি ‘সম্ভাবনা’ উঠে এসেছে।
যদিও বিদেশমন্ত্রকের তরফে এখনও সৌদি আরবে মোদী-চিনফিং পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয় ছিল করোনাভাইরাসের মোকাবিলা। কিন্তু এদিন প্রকাশিত খবরে দাবি, ভার্চুয়াল বৈঠকে চিনের তরফেই মোদী-জিনপিং আলোচনার প্রস্তাব এসেছিল নয়াদিল্লির কাছে।
রুশ বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জয়শঙ্কর-ওয়াং ভার্চুয়াল বৈঠক হলেও দু’দেশের গালওয়ান কাণ্ডের জেরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের আলোচনা হয়নি। বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উৎসবে অংশ নিতে মস্কো পৌঁছলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গতকাল সেখানে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেঙ্গের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা খারিজ করে দেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১-২২ নভেম্বরের জি-২০ শীর্ষবৈঠক ঘিরে তাই কৌতূহল রয়েছে কূটনীতিতে।
আরও পড়ুন: উত্তেজনার আবহেই বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-চিনের বিদেশমন্ত্রী, রয়েছে রাশিয়াও
লাদাখের গালওয়ানে দু’দেশের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পাঁচ মাসের মধ্যে সত্যিই যদি দুই শীর্ষনেতা মুখোমুখি আলোচনায় বসেন, দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিতে তা নতুন পর্বের সূচনা করবে বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেতার মুখোমুখি আলোচনায় বসার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালে সিকিম লাগোয়া ডোকলামে দু’পক্ষের সেনা সন্নিবেশ ঘিরে উত্তেজনার আবহে জার্মানিতে জি-২০ বৈঠকে মোদী-চিনফিং মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে দু’জনের কোনও পার্শ্ববৈঠক হয়নি।
আরও পড়ুন: নেপালের জমি দখল করে চিনের রাস্তা, ঘোরানো হচ্ছে নদীর গতিপথও