cia

Nanda Mulchandani: সিআইএ-র প্রযুক্তি বিভাগের মাথায় নন্দ, নয়া পদ তৈরি করে স্থান ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে

সিআইএ-র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস নিজে একটি ব্লগ পোস্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দের নাম ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ০৬:১৭
Share:

নন্দ মুলচন্দানী

আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ-র প্রযুক্তি বিভাগের মাথায় বসলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানী। সিআইএ-র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস নিজে একটি ব্লগ পোস্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দের নাম ঘোষণা করেছেন। বার্নস জানিয়েছেন, এখন থেকে সিআইএ-তে একটি নতুন পদ যোগ করা হচ্ছে। যার নাম চিফ টেকনোলজি অফিসার বা সিটিও। এই সিটিও-রই প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দকে।

Advertisement

উচ্চশিক্ষিত নন্দ বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহু ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তবে তাঁর লেখাপড়ার শুরুটা ছিল দিল্লিতে। দিল্লির ব্লু বেলস স্কুল ইন্টারন্যাশনাল থেকে স্নাতক হন নন্দ। ১৯৮৭ সালে সেখান থেকে পাশ করার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেন তিনি। তার পরে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ২০১৭-’১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানজমেন্টে স্নাতোকত্তর পাশ করেন নন্দ। পরের বছর হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে ফের স্নাতকোত্তর করেন তিনি।

৫২ বছরের মুলচন্দানীর সিলিকন ভ্যালিতে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে সিআইএ। বেসরকারি ক্ষেত্রে বহু স্টার্ট আপ সংস্থার সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তার পরে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের প্রযু্ক্তি বিভাগের দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

Advertisement

বার্নস একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রযুক্তিকে বরাবরই আমি অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছি। সিটিও-র পদটি সে জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি আনন্দিত যে মুলচন্দানীর মতো মানুষ আমাদের টিমে যোগ দিয়েছেন। ওঁর অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখছি।’’

নতুন দায়িত্ব পেয়ে মুলচন্দানীও উচ্ছ্বসিত। তাঁর বক্তব্য, সিআইএ যে প্রযুক্তিকে কতটা গুরুত্ব দিতে চায়, তা তাদের এই নতুন পদ তৈরি থেকেই স্পষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি সম্মানিত যে সিআইএ-র মতো সংস্থা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। সেখানকার প্রযুক্তিগত বিভাগের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement