ফাইল চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে করোনা বিধি লঙ্ঘন, দেশদ্রোহের মতো অভিযোগ আগেই এনেছিল মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। এ বার দেশের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও আনল সেনা। আজ মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে। তবে কবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
জুন্টা সরকারের অভিযোগ, গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি করে জিতেছিল সু চি-র দল এনএলডি। একই অভিযোগ আনা হয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান-সহ আরও ১৫ জন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই গৃহবন্দি ৭৬ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি। তাঁর বিরুদ্ধে করোনা বিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগ এনেছিল সেনা। সেই সঙ্গে আইন-বিরুদ্ধ ভাবে বিদেশ থেকে ওয়াকি টকি আনানোরও অভিযোগ রয়েছে সু চি-র বিরুদ্ধে। সেই মামলাগুলির বিচার চলছে আদালতে। দোষ প্রমাণিত হলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে সু চি-র।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, গত নভেম্বরের ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছিল। কারচুপি করেনি সু চি-র দল। সেনা তা শুনতে নারাজ। গত মাসেই এনএলডিকে ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনা। ২০ বছরের জেল হয়েছে সু চি-ঘনিষ্ঠ এনএলডি নেতা উইন তিয়েনের। দেশে সেনা-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১২৫০ জনের। জেলে পোরা হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে।