ব্রেক্সিট ভোট

বেঁকে বসে ইস্তফা টিউলিপের

ব্রেক্সিটের সমর্থনে ভোট আদায়ে হুইপ জারি করেছিলেন দলনেতা জেরেমি করবিন। আর তাতেই আপত্তি জানিয়ে লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা (শ্যাডো ক্যাবিনেট) থেকে ইস্তফা দিলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

টিউলিপ সিদ্দিক

ব্রেক্সিটের সমর্থনে ভোট আদায়ে হুইপ জারি করেছিলেন দলনেতা জেরেমি করবিন। আর তাতেই আপত্তি জানিয়ে লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা (শ্যাডো ক্যাবিনেট) থেকে ইস্তফা দিলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নাতনি টিউলিপ ২০১৫-র মে মাসে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ছায়া মন্ত্রিসভায় আসেন আরও মাস চারেক পরে। সূত্রের খবর, গত বছর জুনের গণভোটে হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্নের তিন-চতুর্থাংশ ভোটারই ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই এখন ব্রেক্সিটকে সমর্থন করার অর্থ নিজের সংসদীয় আসনের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। গত কাল এই যুক্তি দিয়েই করবিনকে ইস্তফাপত্র লেখেন টিউলিপ।

টিউলিপের এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর মা (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন) শেখ রেহানাও। যেমনটা শোনা যাচ্ছে, তাতে বিরোধী দলের অন্দরে বিরোধিতার সুর ক্রমশ চড়ছে। এমনকী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র দলীয় (কনজারভেটিভ) সাংসদদের একটা বড় অংশও বেঁকে বসছেন ব্রেক্সিটে।

Advertisement

অথচ পার্লামেন্টে আইন পাশ না হলে, সরকার লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব মিলিয়ে তাই ফের ব্যাকফুটে টেরেসা। তবে প্রকাশ্যে সরকারের দাবি, ব্রেক্সিট-পর্ব মিটে যাবে আগামী মার্চের মধ্যেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement