আবার ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে মাউন্ট সুমেরুতে। আকাশ ঢেকে গিয়েছে কুয়াশা আর ছাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
আবার ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশের সুমেরু পর্বতে শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত। আশঙ্কায় অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের। জাপানের তরফে আশঙ্কা, কয়েকটি দ্বীপে শুর হতে পারে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।
২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর সুমেরু পর্বতে প্রবল অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছিল। সে বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বাড়ি। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫৫ জনের। আহত হন শতাধিক। ঠিক এক বছরের মাথায় আবার জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। রবিবার সুমেরুর আগ্নেয়গিরি থেকে প্রবল বেগে লাভা উদ্গীরণ হচ্ছে। তড়িঘড়ি পার্শ্বস্থ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। তাঁরা জানাচ্ছে, স্থানীয়দের আপাতত বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পাহাড়ের প্রচুর বাসিন্দা নীচের দিকে নেমে আসছেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে অগ্নুৎপাতের ফলে ছাই এবং গাঢ় কুয়াশায় ছেয়ে গিয়েছে আকাশ।
আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ প্রশমন কেন্দ্র (পিভিএমকেজি)-এর মুখপাত্র হেন্দ্রা গুনওয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অগ্নুৎপাতের ফলে আবার বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ের আবহ তৈরি হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, জাপানের আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা মিয়াকো এবং ইয়েইমা দ্বীপে সুনামি হতে পারে। স্থানীয় সময়ও দেওয়া হয়। যদিও সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে বিপর্যয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
মাউন্ট সুমেরুর উচ্চতা ৩ হাজার ৬৭৬ মিটার। ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় ১৩০টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে এটি একটি। এখানে বার বার অগ্নুৎপাতের ইতিহাস রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে ১৯০৯ সালের ২৯ অগস্ট। সে বার প্রায় ৮০০ হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যায়। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মৃত্যু হয় অন্তত ২০০ জনের। তার পরও অগ্নুৎপাত ঘটেছে। তবে তা স্ট্রম্বোলিয়ান অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।