হাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রাণে বাঁচলেন যুবক!

কান ফাটা শব্দে ছন্দে ভঙ্গ দেবেন আর চোখ-মুখ বুজে সেই অনাচার কি সইবে ভেবেছেন? ব্যাস, বলতে না বলতেই যেমনটি কাজ তেমনই ফল। লেজ উঁচিয়ে ৭ হাজার কেজির জীবটা যেই না এগিয়ে গেল, অমনি ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:৪০
Share:

ইউটিউব ভিডিও থেকে স্ক্রিন শটটি নেওয়া হয়েছে।

কান ফাটা শব্দে ছন্দে ভঙ্গ দেবেন আর চোখ-মুখ বুজে সেই অনাচার কি সইবে ভেবেছেন? ব্যাস, বলতে না বলতেই যেমনটি কাজ তেমনই ফল। লেজ উঁচিয়ে ৭ হাজার কেজির জীবটা যেই না এগিয়ে গেল, অমনি ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি! সব কেরামতি উড়ে গেল তো। শেষ মেষ হাত জোড় করে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে প্রাণে বাঁচতে হল। তাও ভাল, হাতির হৃদয়ে মায়া আছে বলতে হয়!

Advertisement

দিন কয়েক আগে তাইল্যান্ডের খওয়াই ন্যাশনাল পার্কের ঘটনা। রাস্তা ধরে গজ গমনে হেলতে-দুলতে রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল এক দল হাতি। পিছনে চলে আসেন এক যুবক। সামনে বিশালাকার হাতির দল দেখে এতটুকু ভয় পাননি তিনি। আর সেই সাহসের বলেই প্রচন্ড শব্দে হর্ন দিয়ে হাতির দলকে টপকাতে যান। কিন্তু হাতিরাও এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। কাছাকাছি গেলেই কান খাঁড়া করে, শুড় আর লেজ উঁচিয়ে তাঁকে তাড়া করে দলটি। রাস্তার উপরেই বাইক ফেলে পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু তাতেও কিছুতেই হাতিদের শান্ত করানো যাচ্ছিল না। চোখের সামনে তখন অন্ধকার। উপায় না দেখে অবশেষে হাত জোড় করে, প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন যুবক। একে একে হাতিরাও তাঁর কোনও ক্ষতি না করে চলে যায়। আর সেই যুবক? খুব শিক্ষা হয়েছে তাঁর। আর যাই হোক হাতির সঙ্গে আর ছেলেখেলা করতে যাবেন না তিনি।

সম্প্রতি এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর এর পরেই ওই ন্যাশনাল পার্কে বাইক নিয়ে যাতায়াত আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement