মায়ানমারে গার্ড অব অনার নরেন্দ্র মোদীকে। ছবি: রয়টার্স।
ব্রিকস শিখর সম্মেলন সেরেই মায়ানমার পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি চিন থেকে সরাসরি মায়ানমার পৌঁছেছেন। দু’দিনের এই সফরে মায়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদী বৈঠক তো করবেনই। মোদীর সঙ্গে বৈঠক হবে সে দেশের সর্বময়ী নেত্রী তথা স্টেট কাউন্সেলর সু চি-রও।
দ্বিপাক্ষিক সফরে এই প্রথম বার মায়ানমার গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত-মায়ানমারের মধ্যে সহযোগিতার পরিমাণ আরও বাড়ানো যায় কী ভাবে, মোদীর এই সফরে তার রূপরেখা স্থির হবে বলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাস দমনের মতো বিষয়ে দু’দেশ অনেক দিন ধরেই হাত মিলিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সেই সহযোগিতা আরও বাড়ানোর পথে এগোবে দুই প্রতিবেশী।
মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চি এবং প্রেসিডেন্টের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এপি।
মঙ্গলবার মায়ানমারের রাজধানী নেপিত-এ পৌঁছে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘নেপিত-এ নামলাম, আমার মায়নমার সফর শুরু হল। মায়ানমার সফরে আমি অনেকগুলি কর্মসূচিতে যোগ দেব।’’
আরও পড়ুন: ডোকলাম যেন আর না ঘটে, একমত মোদী-চিনফিং
আরও পড়ুন: চিনের মুখেও পাক-সন্ত্রাস
ভারত এবং মায়ানমারের মধ্যে প্রায় ১৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডের মতো জঙ্গি উপদ্রুত রাজ্য মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এবং নাগা জঙ্গিরা ভারতের মাটিতে নাশকতা চালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে মায়নমারের জঙ্গলে আশ্রয় নিতেই অভ্যস্ত। মায়ানমার কিন্তু এই জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারের ভিতরে ঢুকে জঙ্গিদমন অভিযান চালানোর অনুমতিও ভারতকে একাধিক বার দিয়েছে মায়ানমার। সেই সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি মায়ানমারের উন্নয়নেও যাতে ভারত আরও বেশি করে সহায়তা দিতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর এই মায়ানমার সফরে তা নিশ্চিত করা হবে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর।