জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলের উপর প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার নেপথ্যে কোন কারণ, বুধবারেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন জো বাইডেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য ভিন্ন বক্তব্য জানাল হোয়াইট হাউস। দাবি করা হল যে, বাইডেনের বক্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। হামাসের হামলার জন্য একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার অবশ্য বক্তব্য, এই ব্যাখ্যাই বুধবার দিয়েছিলেন বাইডেন।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ়কে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন, “ইজ়রায়েলের উপর হামাসের হামলার অন্তত একটি কারণ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত। যদিও আমাদের হাতে এখনও কোনও প্রমাণ আসেনি।’’ ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরই সেই ‘কারণ’, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন বাইডেন। সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘কোনও অবস্থাতেই আমরা অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের সমঝোতা থেকে পিছিয়ে আসব না।’’
বৃহস্পতিবার অবশ্য আমেরিকার জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারী জন কিরবি জানান, বাইডেন মনে করেন যে, আমেরিকার উদ্যোগে সৌদি আরব এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে বোঝাপড়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল, তা ভেস্তে দিতেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে হামাস। কিরবি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, “আমার মনে হয় বাইডেন আসলে যা বলতে চেয়েছেন, সেটা আপনারা ভুল বুঝেছেন।”
ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির মধ্যে সমঝোতা সই হয়েছে সেপ্টেম্বরের জি২০ সম্মেলনে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্পের ‘জবাবেই’ এই কর্মসূচিতে হাত মিলিয়েছে ভারত, আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশ।
যদিও বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এই বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়ার অনেক দেশ উপকৃত হবে। সুফল পাবে চিনও।’’ প্রসঙ্গত, ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত আর্থিক করিডর তৈরি হলে বাণিজ্যের সময় অনেক কমবে। ভারতে পণ্য আমদানি এবং ভারত থেকে রফতানির প্রক্রিয়া নতুন গতি পাবে। এই করিডর তৈরি হলে তা চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রথম বৃহৎ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।