ফাইল ছবি
উত্তর খারকিভকে রুশ সেনা-মুক্ত করার পরেও মস্কোর হামলা অব্যাহত। শুক্রবার রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে খারকিভের সদ্য পুনর্নির্মিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। একটি শিশু-সহ অন্তত ৮ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি শনিবার ফের বলেছেন, একমাত্র কূটনৈতিক পথ ছাড়া যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়। এ ছাড়া একমাত্র রাশিয়ার মন বদলালে বা রাশিয়ার নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলে কিছু পথ মিলতে পারে। তবে দূরদূরান্তে তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এই এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি মস্কোর সমর্থনে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার আগ্রাসন মানে না। ইউক্রেনের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কোনও এলাকা রাশিয়া যদি তাদের মানচিত্রে ঢোকাতে চায়, তাকে মান্যতা দেবে না জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু চাপের মুখেও রাশিয়াকে প্রতিহত করা যে সহজ নয়, তা বুঝতে পারছেন জ়েলেনস্কি। তাই শান্তি চুক্তির বিষয়ে এখনও জোর দিচ্ছেন তিনি।
তবে একই সঙ্গে খারকিভের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতেও ছাড়েননি জ়েলেনস্কি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘সদ্য সংস্কার করা লোজ়োভা শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিকে নিশানা করেছে রাশিয়া। সম্পূর্ণ বুদ্ধিহীন অসৎ কাজ।’’ পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালায় রাশিয়া। খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ জানিয়েছেন, একটি ১১ বছরের বালিকা জখম হয়েছে লোজ়োভার ওই হামলায়। আরও সাত জনের শরীরে বোমার শার্পনেল ঢুকেছে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিতে আগুন ধরে যায়। আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জ়েলেনস্কি লিখেছেন, ‘‘মানবিকতা, শিক্ষাক্ষেত্র, সংস্কৃতি, দখলদারদের হামলায় কিছু অক্ষত নেই।’’
বিস্ফোরণের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন জ়েলেনস্কি। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরু কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। আশপাশে বসতি এলাকা। দু’টি গাড়ি দ্রুত গতিতে আক্রান্ত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বারবার জনবসতি এলাকায় হামলার চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। একাধিক প্রমাণও দাখিল করেছে তারা। যদিও অভিযোগ মানতে রাজি নয় মস্কো। রাশিয়ার মতে, এটি ইউক্রেনের মাটিতে ‘বিশেষ অভিযান’। ইউক্রেনকে আরও ৪০০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য ঘোষণার চুক্তিপত্রে শনিবার সই করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।