প্রথমা: মিশেল ওবামা
দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্ট লেডি হয়ে বর্ণবিদ্বেষের ‘কাচের ছাদ’ হয়তো তিনি ভাঙতে পেরেছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের সেই আট বছরেও ঘৃণা তাঁকে তাড়া করে বেড়াত। চেহারা ও গায়ের রং নিয়ে বহুবার তাঁকে অপমানসূচক কথা শুনতে হয়েছে। রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এমনকী সাংবাদিকদের কাছ থেকে আসা সেই সব মন্তব্য তাঁকে ক্ষত-বিক্ষত করলেও একবারের জন্য থেমে যাননি তিনি। বুধবার ডেনভারে এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা অকপটে জানালেন মিশেল রবিনসন ওবামা।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফার্স্ট লেডিকে কী ধরনের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল, তার বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেন মিশেল। জানান, ‘হিলজুতো পরা বাঁদরি’ বা ‘গোরিলা-মুখো’ এ ধরনের মন্তব্য ঘুরে বেড়াত ওই সাদা বাড়ির আনাচে-কানাচে। তাঁর কথায়, ‘‘বর্ণবিদ্বেষের কাচের ছাদ ভাঙতে গিয়ে ভাঙা কাচের অসংখ্য টুকরো আমাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। রক্ত ঝরেছে সেই সব ক্ষত থেকে। কিন্তু তারপরেও কাচের টুকরো বার করে কাজ করে গিয়েছি।’’ মিশেলের দুঃখ, ‘‘এখনও খারাপ লাগে এটা ভাবলে যে, অনেকেই আমার কৃষ্ণাঙ্গ পরিচয়ের বেশি কিছু জানতে চায় না।’’
আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ভাবনা ছিল মুশারফের
মিশেলের মতে, ‘‘আমাদের মেয়েদের এ ভাবেই চলতে হয়। ক্ষতগুলো অনেক সময়ে এত সূক্ষ্ম হয় যে, আমরা রক্তক্ষরণ টের পাই না। কিন্তু ভিতরে-ভিতরে তো রক্ত ঝরতেই থাকে। সব থেকে বড় কথা, পড়ে গেলেও আমরা থামি না। উঠে দাঁড়িয়ে আবার চলতে শুরু করি।’’