রেস্তরাঁর মালিক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
অ্যারিজোনার টাকসানে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে কারলোত্তা ফ্লোরেসের। একদিন মাঝরাতে ঘুম ভাঙালেন তাঁর ছেলে। বললেন, একটি খাম এসেছে মেক্সিকো থেকে। খাম খুলতেই একরাশ বিস্ময়।
একটি চিঠি রয়েছে খামে আর রয়েছে নগদ হাজার ডলার। চিঠিটি পাঠিয়েছেন রেস্তরাঁর এক প্রাক্তন কর্মী। তবে নেই প্রেরকের নামের উল্লেখ। রেস্তরাঁর ওই কর্মী লিখেছেন, নব্বইয়ের দশকে ওই রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। ছাত্রী ছিলেন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সেই সময় ‘এল চাররো ক্যাফে’-তে কাজ করতেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি। সেই সময় লোভে পড়ে রেস্তরাঁ থেকে কিছু ডলার চুরি করেন তিনি। এক সহকর্মীই তাঁকে এই কাজ করতে বলেছিলেন। সে সময় তিনি খানিকটা নেশাচ্ছন্নও ছিলেন। তাই এই ভুল করে ফেলেন। এর আগে বা পরে কখনও তিনি অনায্য কোনও কাজ করেননি। চিঠির শেষে কৃতজ্ঞ এক কর্মী হিসাবেই সই করেছেন ওই মহিলা।
এই চিঠি পোস্ট হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তিনি লেখেন, ২০ বছর আগের এই ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত। বারবার নিজেকে অপরাধী বলেও মনে হয়েছে তাঁর। সেই কারণেই চুরির টাকা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন তিনি। রেস্তরাঁর মালিক এই চিঠি পেয়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছেলে শেয়ারও করেন চিঠিটি। তিনি লেখেন, দুনিয়ায় সৎ মানুষের সংখ্যা যে এখনও কমে যায়নি, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। এই ঘটনার পর মেক্সিকোর এই রেস্তরাঁয় বেড়ে গিয়েছে ভিড়ও।