মেহুল চোক্সী।
মেহুল চোক্সী এখন ‘ডমিনিকা চায়না ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল’-এ। ডমিনিকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে গারদে পাঠানো হয়েছিল ৬৩ বছর বয়সি এই ফেরার ভারতীয় ব্যবসায়ীকে। কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে তাঁর। তবু রবিবার রাতে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। অ্যান্টিগা থেকে মেহুলের আইনজীবী জাস্টিন সাইমনও জানিয়েছেন, খবরটি সত্য।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুলের বিরুদ্ধে। তাঁকে ভারতে পাঠানোর উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকার হাই কোর্ট। পুলিশকে আদালত বলেছে, মেহুলের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীদের যোগাযোগ করতে দিতে হবে।
এরই মধ্যে আবার নয়া মোড় নিয়েছে মেহুলকে অ্যান্টিগা থেকে ‘অপহরণ’ করে ডমিনিকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে টানাপড়েন। অপহরণের অভিযোগ গোড়া থেকেই করে আসছেন মেহুলের আইনজীবীরা। কিন্তু অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, মেহুল তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে নৈশভোজ করতে ডমিনিকায় গিয়েছিলেন। আজ আবার মেহুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, ওই মহিলা মেহুলকে অপহরণ করার জন্য নিযুক্ত দলেরই অঙ্গ। তিনি কয়েক দিন ধরে মেহুলের সঙ্গে ভাব জমান। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সখ্য তৈরি করেন। তার পরে মেহুলকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডাকেন। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করেন দলের বাকি সদস্যেরা।
সেই ‘অপহরণ’-এ যুক্ত বলে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই দুই ‘ভারতীয় এজেন্ট’ ভান্ডাল গুরজিত ও গুরমিত সিংহ অ্যান্টিগার ‘ফোর্ট ইয়ং হোটেল’ থেকে লন্ডন পাড়ি দিয়েছেন। যাদের নৌকায় চোক্সী অ্যান্টিগা থেকে ডমিনিকা যান, সেই সংস্থা ঘটনার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।