ফাইল চিত্র
পলাতক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি মেহুল চোক্সীকে পুলিশি হেফাজত থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল ডমিনিকার এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তবে তাঁর আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, মেহুলের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে তাঁকে আপাতত হাসপাতালেই রাখা হবে।
গত ২৩ মে অ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান পিএনবি ঋণ জালিয়াতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল। দু’দিন পরে ডমিনিকার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির কয়েক দিন পর থেকেই মেহুল ডমিনিকার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মেহুলের উপরে প্রবল মানসিক চাপ থাকায় তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি থাকছে। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মেহুলের ডাক্তারি রিপোর্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র ডমিনিকার আদালতে জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
মেহুলকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর পরে ভারতের পক্ষে কিছুটা হলেও সুবিধে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ডমিনিকার হাই কোর্টে মেহুলের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার যে মামলা চলছে, তার পক্ষ হতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে মেহুলের প্রত্যর্পণ মামলায় ভারত সরকার আশার আলো দেখছে। সূত্রের খবর, সিবিআই এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আলাদা ভাবে এই মামলায় মেহুলের বিরুদ্ধে নতুন করে ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে। তিনি যে এখনও ভারতের নাগরিক, তা প্রমাণ করতে চাইছে নয়াদিল্লি। গত বুধবার একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিবিআই জানিয়েছে, মেহুলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলছে, এটা জানার পরেই ২০১৭ সালে তিনি ভারত ছেড়ে পালানোর তোড়জোড় শুরু করেন। একই সঙ্গে ওই চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগও আনা হয়েছে।