মেহুল চোক্সী। —ফাইল চিত্র।
খুব তাড়াতাড়ি ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সীকে। প্রয়োজনে অবশ্যই আইনি উপায় মেনে ভারতীয় তদন্তকারীরা অ্যান্টিগায় গিয়েও মেহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। জানিয়ে দিলেন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গাস্টন ব্রাউনি। তবে মেহুলের অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে বল ভারতের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, ভারত ছাড়পত্র না দিলে নাগরিকত্ব পেতেন না মেহুল।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশছাড়া মেহুল চোক্সী এবং নীরব মোদী। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে। লন্ডনে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি নীরব মোদী আর মেহুল রয়েছেন অ্যান্টিগায়। সে দেশের নাগরিকত্বও নিয়েছেন। কিন্তু অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় এতদিন সন্ধান পেয়েও মেহুলকে ফিরিয়ে আনতে পারছিল না ভারত। কিন্তু সম্প্রতি মেহুলের নাগরিকত্ব বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছে অ্যান্টিগা সরকার। বর্তমানে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন।
সেই আইনিপ্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে গেলেই মেহুলকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনি। তিনি জানান, অ্যান্টিগার উন্নতিতে কোনও কাজেই লাগেননি মেহুল। তাই তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যান্টিগা। এ বিষয়ে অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনি বলেছেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি মেহুল চোক্সী একজন জালিয়াত, তিনি আমাদের দেশের কোনও কাজে লাগেন না। আমি নিশ্চিত করছি যে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ভারত তাঁর বিরুদ্ধে যে কোনও চার্জ আনতে পারে। এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনি বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে এই বার্তা দিয়েছি যে অপরাধীদেরও আইনি সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। চোক্সীর ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু আমি আশ্বস্ত করছি, এক বার তাঁর সামনে আইনের সব দরজা বন্ধ হলেই তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।’’
আরও পড়ুন: দৌড়চ্ছে সিবিআই, হাইকোর্টে আগাম জামিনের শুনানি আজ, কী আছে রাজীবের ভাগ্যে?
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের নিশানায় মোদী, দাবি গোয়েন্দাদের
এমনকি, মেহুল চোক্সী যে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন, তা নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনি। কারণ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার পর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অ্যান্টিগা। ভারতের থেকে মেহুলকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। মেহুল দেশ ছাড়ার পর পরই তাঁর জালিয়াতি সামনে আসে। মেহুলের সম্বন্ধে যদি সঠিত তথ্য ভারত দিয়ে থাকত, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টিই হত না। এই ঘটনাকে ভীষণই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘আজ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সমস্ত দায় ভারতীয় আধিকারিকদের নিতে হবে’।